রাজ্য সরকার সম্প্রতি চালু করেছে ‘উৎসশ্রী’ পোর্টাল। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতেই এই পোর্টাল চালু করেছিল রাজ্য সরকার। তবে এই পোর্টাল চালুর পর নতুন এক সমস্যা তৈরি হয়েছে বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায়। পোর্টালের মাধ্যমে বহু শিক্ষক-শিক্ষিকা শহরে বদলির আবেদন জানাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে গ্রামেগঞ্জে শিক্ষকের অভাব দেখা দিতে শুরু করেছে।
গ্রামীণ এলাকায় সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলেই পড়াশওনা করেন বেশিরভাগ পড়ুয়া। তবে শিক্ষকের অভাবে এই স্কুলগুলির নাজেহাল দশা হতে বসেছে। পরিস্থিতি এমনটা থাকলে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে গ্রামীণ এলাকায় শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকেই। উৎসশ্রীর দৌলতে গ্রামীণ স্কুলগুলিতে শূন্যপদ বাড়ছে। বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের অভাব দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ স্কুলেই গড়ে শিক্ষক প্রতি ১০০ পড়ুয়া থাকছে। এর জেরে পড়াশোনার মান প্রভাবিত হচ্ছে। এদিকে এই সমস্যার জন্য অনেক শিক্ষক আবার নিয়মিত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন না-করার বিষয়টিকে দায়ী করছেন।
এদিকে গেজেটের মাধ্যমে রাজ্য স্কুলশিক্ষা দফতর বুধবার জানিয়ে দেয়, শিক্ষক বদলির ক্ষেত্রে এবার বয়স ও স্কুল থেকে বাড়ির দূরত্ব অন্যতম বিবেচ্য বিষয় হিসেবে ধরা হবে। পাশাপাশি গেজেট অনুসারে যদি কোনও স্কুলে কোনও বিষয় শুধুমাত্র একজন শিক্ষক থাকেন সেক্ষেত্রে সেই 'সিঙ্গল টিচার' বদলির আবেদন করলে প্রধান শিক্ষক বা পরিচালন সমিতি আটকাতে পারবে না। শারীরিক অসুস্থতার ভিত্তিতে বদলির আবেদন করলে অনুমোদিত চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে। এছাড়াও শারীরিক প্রতিবন্ধকতার ক্ষেত্রে নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে ৪০ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলে তিনি বদলিতে সুবিধা পেতেন। তবে এখন তা পরিবর্তন করে ৬০ শতাংশ করা হয়েছে।