অন্ধকারেও জ্বল জ্বল করছিল ছাইরঙা পাথরগুলি। বিমানবন্দরের কাছে একটি বাড়িতে সেগুলি রাখতে গিয়েছিল হুগলির সিঙ্গুরের বাসিন্দা শৈলেন কর্মকার ও পোলবার অসিত ঘোষ। এদিকে এগুলি নিয়ে সন্দেহ হওয়াতে পুলিশে খবর দিয়েছিলেন ওই বাড়ির লোকজন। কিন্তু এগুলি আদপে কী তা নিয়ে এখনও সংশয় থেকেই গিয়েছে। সেগুলি কি সত্যিই তেজস্ক্রিয় পদার্থ ক্যালিফর্নিয়া?, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি সিআইডি। এগুলি জানতে ভাবা পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে। তাছাড়া এগুলি যদি বাস্তবে ক্যালিফর্নিয়াম হয় তবে আন্তর্জাতিক বাজারে এক গ্রাম এই ধরনের ধাতুর দাম ১৭ কোটি টাকা। এদিকে উদ্ধার হওয়া চারটি টুকরোর ওজন ২৫০.৫ গ্রাম। সেক্ষেত্রে এগুলি বাস্তবে ক্যালিফর্নিয়াম হলে দাম দাঁড়াবে ৪২৫৮ কোটি টাকা। এদিকে গত মে মাসে লখনউ এটিএস ৩৫০ গ্রাম ক্যালিফর্নিয়াম সহ আটজনকে গ্রেফতার করেছিল। তাদের সঙ্গে কলকাতার ধৃতদের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
এদিকে এদিন ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হয় ধৃত দুজনকে। আদালত অভিযুক্তদের ৮দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে সত্যি কি তারা এই অবৈধ কারবারের সঙ্গে যুক্ত? তাদের চালচলন দেখেও বোঝার উপায় নেই। প্রতিবেশীদের দাবি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে শৈলেন গয়নার কাজ শিখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যান। মাটির বাড়ি ভেঙে সম্প্রতি পাকা দোতলা বাড়ি করেছেন শৈলেন। তবে শৈলেনের স্ত্রীর দাবি, জমি বিক্রি করে বাড়ি মেরামত করা হয়েছে। স্বামীকে ফাঁসানো হয়েছে। অসিত জমি কেনাবেচা, টেলারিংয়ের কাজের সঙ্গে যুক্ত। তাঁর স্ত্রীর দাবি, এত কিছু যদি করত তবে বাড়ির এই হাল হত না।