একদিকে রাত দখল করল নারীরা। আর অন্যদিকে সেই রাতেই আরজি করে হামলা চালাল দুষ্কৃতীরা। বহু মূল্যবান যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করা হয়েছে। এদিকে পুলিশ ইতিমধ্য়েই সেই ঘটনায় উল্টোডাঙা, টালা ও শ্য়ামপুকুর থানায় তিনটি মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই সঙ্গেই পালা করে গ্রেফতারিও চলছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্য়ায় কয়েকজনকে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়। খোদ কলকাতার পুলিশ কমিশনার তাঁদের জেরা করছেন। সেই সঙ্গেই যারা হামলা চালিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে বা সূত্র মারফৎ খবর মিলছে তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে।
এদিকে পুলিশ কমিশনার নিজে ওই অভিযুক্তদের জেরা করছেন বলে খবর। তাঁর সঙ্গে এক সহকারি পুলিশ কমিশনারও ছিলেন।
এদিকে কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে ছবি প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই ছবিতে এমন একাধিক জনকে লাল কালিতে দাগ দেওয়া হয়েছে যারা ওই রাতের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত বলে দাবি করা হয়েছে। এদিকে সেই ছবিতে আবার এমন একাধিক জন রয়েছেন যারা সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন তারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। তবে পুলিশ সব কিছুই খতিয়ে দেখছে।
এবার প্রশ্ন উঠছে কেন আরজি কর হাসপাতালের জরুরী বিভাগ সহ একাধিক বিভাগে হামলা চালানো হল? তবে কি প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা ছিল তাদের? নানা কথা রটছে। তবে গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ সেই রাতে কম্বলের নীচে লুকিয়ে পড়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে। এমনকী পুলিশ নাকি সেই রাতে বাথরুমেও লুকিয়ে পড়েছিল।
এদিকে মানিকতলা থানার ওসি দেবাশিস দত্তের উপরেও হামলা হয় বলে খবর। তবে সেই রাতে তিনি অবশ্য পিছু হঠেননি। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি লড়ে যান।
বৃহস্পতিবার বিক্ষোভের মধ্যেই নার্সরা অভিযোগ করেন, গতরাতে যখন হাসপাতালে তাণ্ডব চলেছে, তখন পুলিশকেই 'প্রোটেকশন' দিতে হয়েছে। নার্সদের ওয়ার্ডে ঢুকে যান পুলিশ অফিসাররা। এমনকী পুলিশ আধিকারিকরা স্ত্রীরোগ বিভাগের বাথরুমে গিয়েও আশ্রয় নেন বলে অভিযোগ করেছেন নার্সরা। আরজি করের নয়া অধ্যক্ষ সুহৃতা পালকে ঘিরে ধরেও তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা দাবি করেন যে সুরক্ষা নিয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি দিতে হবে। তবেই কাজে যোগ দেবেন।
এক নার্স বলেন, 'ম্যাডাম কাল দু'গাড়ি র্যাফ দাঁড়িয়েছিল। পুলিশ ছিল। তারা নির্বাক হয়ে দেখছিল। গাইনি বিল্ডিংয়ে তারা আশ্রয় নিয়েছিল। এমনকী পেশেন্টের কম্বলের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিল। এরকমও হয়েছে। তাহলে তাদের উপরে ভরসা করে কীভাবে আমরা ডিউটিতে নামব?'