অবশেষে মিটল বন্দে ভারত মিশন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। আজ এয়ার ইন্ডিয়ার একটা বিশেষ বিমানে ঢাকা থেকে কলকাতায় আসছেন ১৬৯জন ভারতীয়। তবে কারা কারা আসতে পারবেন, সেটা ঠিক করতে কালঘাম ছুটে গিয়েছে ভারতীয় দূতাবাসের। বিপুল সংখ্যক আবেদন পাওয়ায়, শুধু যাদের ফেরা অত্যন্ত জরুরি, তাদেরই আসতে দেওয়া হয়েছে এই বিশেষ বিমানে।
সোমবারের বিমানে থাকছেন ৭৩জন ছাত্র, ১৬জন বয়স্ক, ৪৫জন আটকে পড়া পর্যটক। এছাড়াও আছেন একজন গর্ভবতী ও ১৬জন অসুস্থ মানুষ যারা চিকিত্সার জন্য ভারতে আসতে চান।
শুধু ঢাকা নয়, বাংলাদেশের ১৮টি জেলা থেকে লকডাউনের জেরে আটকে পড়া ভারতীয়দের চিহ্নিত করে এই বিমানের সঙ্গে পাঠানো হচ্ছে, সূত্রের খবর। কলকাতায় এসে পৌঁছলে এদের ১৪দিন কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হবে। রাজ্যের ২০টি জেলার মানুষ এদিন দেশে ফিরবেন।
বন্দে ভারতের দ্বিতীয় ধাপে প্রাথমিক ভাবে কলকাতা তালিকায় ছিল না। মোট ৩২ হাজার ভারতীয়কে দেশে ফেরানো হবে এই ধাপে। প্রথম ধাপে ৬৪ ফ্লাইটে ১৫ হাজার মানুষ দেশে ফিরেছেন। তার মধ্যেও কলকাতা ছিল না।
তারপরেই হইচই জুড়ে দেয় রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ আনেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উত্তরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলে যে আগত যাত্রীদের কোথায় কোয়ারেন্টাইন করা হবে, রাজ্য জানায়নি। জবাবে বাংলার স্বরাষ্ট্রদফতর জানায় যে এই প্রসঙ্গে চিঠি আগেই দেওয়া হয়েছে।
চাপানোতরের শেষে অবশেষে মানুষ নিজেদের দেশে ফিরতে পারছে, সেটাই বড় কথা। বাংলায় ফিরতে চেয়ে সারা বিশ্ব থেকে প্রায় ৩৭০০ আবেদন জমা পড়েছে।