সাতসকালে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ট্যাংরা। প্রবল বিস্ফোরণে ভেঙে পড়ল বাড়ি। উড়ে গেল অ্যাসবেস্টরের চাল। ঘটনার জেরে আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবশ্য দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাড়িতে কেউ না থাকায়, অল্পের জোরে রক্ষা পেয়েছেন বাসিন্দারা।
সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে ট্যাংরা থানা এলাকার বৈশালীর একটি বাড়িতে।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় ট্যাংরা থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছেয় ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।প্রাথমিক তদন্তে বিশেষজ্ঞদের অনুমান, ‘ভেপার ক্লাউড এক্সপ্রেশনের’ কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।
এপ্রসঙ্গে ফরেনসিক আধিকারিক তন্ময় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ পরীক্ষা করে দেখলাম গ্যাস সিলিন্ডারের কোনও ক্ষতি হয়নি। যে ঘটনাটি ঘটেছে তাকে বলা হয়, ‘ভেপার ক্লাউড এক্সপ্লোশন’। সিলিন্ডারের রেগুলেটর সমস্যা ছিল।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভেপার ক্লাউড এক্সপ্লোশন তখন হয় যখন, প্রচুর দাহ্য বাষ্প ও পদার্থ বাতাসের সংস্পর্শে এসে জ্বলে ওঠে। সেই মুহূর্তে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। এমনকী, অনেক দূর পর্যন্ত এই বিস্ফোরণের প্রভাব পড়তে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে আচমকাই ওই বাড়িতে বিকট শব্দে বিস্ফারণ হয়। ঘটনার জেরে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে একতলা বাড়ি। উড়ে যায় বাড়ির অ্যাসবেস্টরের চাল। এমনকী, পাশের বাড়ির দেওয়ালে ভেঙে হেলে পড়ে পাঁচিলও। ক্ষতিগ্রস্ত হয় আশেপাশে পাঁচটি বাড়ি। অবশ্য ঘটনার সময় কেউ বাড়িতে না-থাকায়, প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন ওই বাড়ির বাসিন্দারা।
বাড়ির মালিক নিমাই মণ্ডলের দাবি, গ্যাস সিলিন্ডারে বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় আমরা কেউ বাড়িতে ছিলাম না। আমি রান্না বসিয়ে বাইরে বেরিয়েছিলাম। তখনই বিস্ফোরণ হয়।’ ট্যাংরা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা হওয়ায়, মুহুর্তে এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে । প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বিকট বিস্ফোরণের আওয়াজে ভয় পেয়ে তাঁরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে আসেন।
অবশ্য পুলিশ যখন ওই বাড়িতে পৌঁছয় তখন দেখা যায়, ওই বাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। তখনই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের ডাকা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ট্যাংরার ওই বাড়িতে এই ঘটনাই ঘটেছে। তবে ফরেনসিক বিভাগের চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে না-পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পারছে না-পুলিশ।