কেউ রান্না করেন তো কেউ বাগানের কাজ করেন। এটাই তাঁদের জীবন–জীবিকা। এই রাঁধুনি–মালি–পিয়ন–গাড়িচালকরা হঠাৎই কোম্পানির ডিরেক্টর হয়ে যান। তবে সবটাই হয়েছে তাঁদের অজান্তে। তবে একদিন হঠাৎ জানতে পারলেন, আলাদিনের আশ্চর্য প্রদীপের জেরেই তাঁরা রাতারাতি বিভিন্ন সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসেছেন। তবে সেটা কাগজে–কলমে। এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি উঠে এসেছে ইডির চার্জশিটে। যা এখন চর্চিত হচ্ছে।
কেমন করে জানতে পারলেন তাঁরা ডিরেক্টর? জানা গিয়েছে, ইডি রাজ্যে ধরপাকড় শুরু করতেই তাঁরা জানতে পারেন কোম্পানির ডিরেক্টর পদে তাঁদের নাম রয়েছে। আবার সংবাদমাধ্যম সেই খবর সম্প্রচারিত করতে তাঁদের চোখ কপালে উঠে যায়। তাঁদের বয়ানও তুলে ধরা হয়েছে ইডির চার্জশিটে। পার্থ–অর্পিতার হাতযশেই এই নিম্নবিত্ত মানুষেরা আজ ডিরেক্টর। এই দাবিও চার্জশিটে করা হয়েছে।
কী তথ্য তুলে ধরেছে ইডি? ইডি সূত্রে খবর, কল্যাণ ধর নামে এক ব্যক্তির সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এই কল্যাণ নিজের বয়ানে জানিয়েছেন, তাঁর শ্যালিকা অর্পিতা তাঁকে গাড়িচালক হিসাবে রেখেছিলেন। আর তাঁর অজান্তেই অর্পিতা তাঁকে ‘ইচ্ছে এন্টারটেনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড’, ‘সেন্ট্রি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং ‘সিম্বায়োসিস মার্চেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড’–এর ডিরেক্টর বানিয়ে রেখেছিলেন। এমনকী নানা নথিতে সই করিয়েছিলেন অর্পিতা। বাকি ব্যক্তিদের সঙ্গেও একই কাজ করেছেন পার্থ–অর্পিতা। তাঁদের বয়ান রয়েছে চার্জশিটে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ইডি সূত্রে খবর, রাঁধুনি থেকে মালি—সংস্থার ডিরেক্টর হয়ে গিয়েছিলেন অজান্তেই। এমনকী তাঁরা না পড়েই বিভিন্ন নথিতে সই করেছেন। আর তাঁদের দিয়ে সাদা কাগজেও সই করানো হয়েছিল। অথচ যে অফিসের ডিরেক্টর সেখানে তাঁরা কোনওদিন পা রাখেননি। পিয়নের পদে যিনি কাজ করতেন তিনিও সংস্থার ডিরেক্টর হয়েছিলেন!