মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে রাজ্যপাল নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এবার হবেন রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য। এই সিদ্ধান্তে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে ঘুরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পরামর্শ দিলেন প্রাক্তন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথা বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। এদিন তিনি একটি টুইট করেন। সেখানেই দিয়েছেন পরামর্শ।
ঠিক কী টুইট করেছেন তথাগত রায়? মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল টুইটে লেখেন, ‘মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের সরকারি যত বিশ্ববিদ্যালয় আছে তার আচার্য পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে বিধানসভায় বিল আনবে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই বিলকে আইনে পরিণত করতে রাজ্যপালের সম্মতি দরকার! রাজ্যপাল সে সম্মতি নাও দিতে পারেন। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২০০ অনুযায়ী সে বিল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাতে পারেন। আমি মেঘালয়ে একবার তাই করেছিলাম। এই বিলে ভারতের অন্যান্য রাজ্যে বসবাসী নাগরিকদের মেঘালয়ে প্রবেশ করার ব্যাপারে নানারকম বিধিনিষেধ আরোপ করার প্রস্তাব ছিল।’
কিন্তু রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী কী বলছেন? এই বিষয়টি সামনে আসতেই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পুঞ্চি কমিশন ২০১০ সালে এই বিষয়ে সুপারিশ করেছিল। তখন বিরোধীদের পক্ষ থেকে সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রাজনাথ সিং এই সুপারিশ কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তামিলনাড়ুতে স্ট্যালিন সরকার আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে দেয়। গুজরাতেও উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী হাতে আছে।’
বিরোধীরা সমালোচনা করলেও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে আচার্য পদে থাকেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের ক্ষেত্রে দায়িত্ব থাকে রাজ্যপালের উপর। সেখানেই রদবদল করার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। বিরোধিতা করেছে বিজেপি। কিন্তু রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্য শীঘ্রই বিল আনতে চলেছে সরকার।’