একুশের নির্বাচনের পর থেকেই একাধিকবার বঙ্গ–বিজেপি শিবিরকে তুলোধনা করে এসেছেন তিনি। কামিনী কাঞ্চন তাঁরই দেওয়া তত্ত্ব। সেই সঙ্গে অর্থ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিস্তর অভিযোগ করেছেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের বেনোজল বিজেপিতে ঢুকেই সর্বনাশ হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। তিনিই কেডিএসএ বিষয়টি সামনে এনেছিলেন। এমনকী নগরের নটি তাঁরই বিশ্লেষণ। এবার আরও একবার টুইট খোঁচা ফাটালেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়।
ঠিক কী টুইট করেছেন তথাগত রায়? আজ, শনিবার বিজেপির ‘চিন্তন বৈঠক’। তার প্রাক্কালে সুধীন্দ্রনাথ দত্তের কবিতাকে সামনে নিয়ে এসে খোঁচা দিলেন তিনি। মেঘালয়ের প্রাক্তন রাজ্যপাল কবির বহু পরিচিত উটপাখি কবিতার সেই লাইন তুলে লেখেন, ‘ফাটা ডিমে আর তা দিয়ে কি ফল পাবে? বিধানসভা নির্বাচনের ফলের পর বিজেপি বিপর্যয় স্বীকার না করে বলেছিল, ৩ থেকে বাড়িয়ে ৭৭ তো করেছি! সেই উটপাখির মতো আচরণের ফল হল আজ পুরভোটে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া! এখন হচ্ছে চিন্তন বৈঠক? সুধীন দত্তের ‘উটপাখি’ কবিতা থেকে উদ্ধৃত করে বলতে হয়, ফাটা ডিমে আর তা দিয়ে কি ফল পাবে?’ সুতরাং বঙ্গ–বিজেপিকে কার্যত ফাটা ডিমের সঙ্গে তুলনা করেছেন তিনি।
আজ, বিজেপির চিন্তন বৈঠকে ঝড় ওঠার সম্ভাবনা প্রবল। তার কারণ ১০৮টি পুরসভা নির্বাচনে বিজেপি কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। বিধানসভার প্রধান বিরোধী দলকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকী সুকান্ত– দিলীপ–শুভেন্দু কেউ নিজের গড় জেতাতে পারেননি। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতারাও অত্যন্ত অসন্তুষ্ট। তাই এখানে অমিত মালব্যকে পাঠিয়ে রিপোর্ট নিতে চাইছেন জেপি নড্ডা–বিএল সন্তোষরা।
ইতিমধ্যেই বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় বঙ্গ–বিজেপির নেতৃত্বকে চাপে ফেলে দিয়েছেন। এই চিন্তন বৈঠকে তিনিও আছেন। ঝড় তিনিও তুলতে পারেন। এই ইস্যুতে তিনি বলেন, ‘বিধানসভায় আমাদের ৩৮ শতাংশ ভোট ছিল। তা থেকে নেমে ১৬ শতাংশ হয়েছে। আমাদের প্রত্যেককে, দলের সবাইকে সকল কর্মীকে এই নিয়ে ভাবতে হবে। এই দায় সবাই মাথা পেতে আমরা নেব। পরস্পরকে দোষ না দিয়ে আত্মবিশ্লেষণের মাধ্যমেই এই ফাঁক পূরণ করার চেষ্টা করব।’