চার পুরসভা নির্বাচনের ফলাফল ৪–০। বিজেপি খাতা খুলতে পারেনি প্রধান বিরোধী দল হয়েও। পদ্মের ফলন ভাল না হওয়ায় এখন বিদ্রোহী আদি নেতারা হাসছেন। আর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে তোপ দাগা থেকে টুইট খোঁচা। এই নির্বাচনে সংগঠনের হাল যে বেহাল তা প্রমাণ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে। এই টুইট খোঁচার সর্বাগ্রে আছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়।
ভরাডুবি নিয়ে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘সংগঠনের দুর্বলতা আছে, এটা স্বীকার করতে হবে। ছোট ছোট ভোটে লড়াইয়ের যোগ্যতা অর্জন করতে পারিনি আমরা।’ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এখানে আমরা ভাল ফলের আশা করেছিলাম। এতটা খারাপ ফলের কারণ বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে।’
বিজেপির সাময়িক বহিষ্কৃত নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের কটাক্ষ, ‘অসহায় রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, ভাচুর্য়াল চক্রবর্তী নাকি টুইটার মালব্য, কে পদত্যাগ করবেন এই ফলাফলের দায় নিয়ে।’ রীতেশ তিওয়ারির খোঁচা, ‘এই ফলের জন্য দিলীপ ঘোষ–কৈলাস বিজয়বর্গীয়–সহ কেন্দ্রীয় নেতারা দায়ী নয়। এখন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারেরও ভূমিকা ছিল না। ভার্চুয়াল চক্রবর্তী ও তাঁর কিছু অনুচর দায়ী এই ফলের জন্য। কারণ তিনিই দায়িত্বে ছিলেন।’
আর এই গোটা বিষয়টি নিয়ে টুইট খোঁচা দিয়েছেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়। তিনি লিখেছেন, ‘সব্যসাচী দত্ত বলেছেন, ‘কে চেয়ারে বসবেন তা খুব বড় কথা নয়। আমি জানি আসল মেয়র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সব লোকেদের নিয়ে কেডিএসএ গ্যাং ধেই ধেই করে নেচেছিল। আর ১৯৮০–র দশক থেকে পার্টি করে আসা কার্যকর্তাদের বলা হয়েছিল, ‘আপনারা এতদিন কি…?’ ছাপার অযোগ্য ভাষায় আক্রমণ শানান বিজেপি নেতা।