রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের সর্বসম্মতি প্রার্থী হয়েছেন যশবন্ত সিনহা। সেখানে ১৮ বিরোধী দলের প্রার্থী হয়েছেন তিনি। একদিকে প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী, অন্যদিকে দুঁদে আমলা রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হওয়ায় চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। তাই আদিবাসী তাস খেলতে হয়েছে মোদী–শাহকে। কিন্তু বিরোধীরা তাঁকে প্রার্থী ঘোষণা করতেই টুইটে যশবন্ত সিনহাকে কটাক্ষ করলেন বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথাগত রায়।
ঠিক কী লিখেছেন তথাগত রায়? এদিন বিজেপির পক্ষে ব্যাট ধরে প্রাক্তন মেঘালয়ের রাজ্যপাল টুইটে লেখেন, ‘যশবন্ত সিনহার মতো এমন শোচনীয় অবস্থা দেখিনি। বিজেপির মন্ত্রী ছিলেন। তারপর মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস যোগ দিলেন। রাজ্যসভার টিকিট পেলেন না। এখন পরাজয় নিশ্চিত জেনেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের চতুর্থ পছন্দের প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন।’
কে এই দ্রৌপদী মুর্মু? ১৯৫৮ সালের ২০ জুন জন্মগ্রহণ করেন দ্রৌপদী মুর্মু। ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ওড়িশা সরকারের জলসম্পদ ও শক্তি দফতরে জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করেছিলেন। ১৯৯৪ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত শ্রী অরবিন্দ ইন্টিগ্রাল এডুকেশন সেন্টার সাম্মানিক শিক্ষক ছিলেন। এরপর কাউন্সিলর হিসেবে রাজনৈতিক জীবন শুরু। তারপর রায়রংপুর উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন হন। পরে রায়রংপুর বিধানসভা থেকে দু’বার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিজু জনতা দল তথা নবীন পট্টনায়েকের সরকারের মন্ত্রীও ছিলেন। পরিবহণ, মৎস্য এবং পশুপালন দফতরের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এরপর ঝাড়খণ্ডের প্রথম মহিলা রাজ্যপাল হয়েছিলেন দ্রৌপদী মুর্মু। এবার তিনি এনডিএ’র রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী।
উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী ঘোষণা করে বিরোধীরা। রাইসিনার রেসে বিরোধী প্রার্থী তৃণমূল কংগ্রেসের যশবন্ত সিনহা। যিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ–সভাপতির দায়িত্ব ছিলেন। অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারে মন্ত্রীও ছিলেন। রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে তাঁকে সমর্থনের ঘোষণা করল একাধিক বিরোধী দল। শরদ পাওয়ার, গোপালকৃষ্ণ গান্ধী, ফারুক আবদুল্লা প্রার্থী হতে রাজি হননি। বিরোধী প্রার্থী হিসাবে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি যশবন্ত সিনহার নাম উঠে আসে।