যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সান্ধ্য ক্লাসকে ঘিরেই নানা কথা উঠতে শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, গত প্রায় ১ বছর ধরেই ইতিহাস বিভাগের সান্ধ্য ক্লাসটি নিয়ে নানা টানাহেঁচড়া চলছে। এদিকে ইতিহাসের বোর্ড অফ স্টাডিজের সিংহভাগ শিক্ষক জানিয়ে দেন তারা এই ধরনের ক্লাস চালাতে পারবেন না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই কোর্স বন্ধ করতে একেবারেই রাজি নয়। এমনকী পড়ুয়ারাও চাইছেন না এই কোর্স বন্ধ হোক। কিন্তু কেন সান্ধ্য বিভাগের এই কোর্সকে ঘিরে এত আপত্তি তুলেছেন শিক্ষকরা?
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ইতিহাসের একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন তাঁরা অতিরিক্ত চাপের মধ্যে কাজ করছেন। সকালের দিকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের পড়াতে হচ্ছে। এরপর গবেষণায় সহায়তা করতে হচ্ছে। তারপর ফের সন্ধ্যায় ক্লাস নিতে হচ্ছে। সেই ক্লাস নেওয়ার সময় তাঁরা বের করতে পারছেন না। তাছাড়া এই কোর্সের পড়ুয়াদের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। কিন্তু এখানে আরও একটি প্রশ্ন উঠেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক বিভাগেই সান্ধ্যকালীন ক্লাস রয়েছে। কিন্তু কেন সন্ধ্যাবেলায় ইতিহাস পড়াতে আপত্তি শিক্ষকদের একাংশের? খোদ উপাচার্যের দাবি, বিভাগের প্রবাদপ্রতিম শিক্ষকরা অতীতে এই কোর্স চালিয়েছেন। তা হলে বর্তমান শিক্ষকদের আপত্তি কোথায়?
তবে সান্ধ্যকালীন ক্লাস চালিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকী উপাচার্য নিজেও প্রয়োজনে এবার ইতিহাসের ক্লাস নিতে ইচ্ছুক। অথবা অবসরপ্রাপ্তদের দিয়ে ক্লাস চালানো হতে পারে। উপাচার্য নিজেও একজন ইতিহাসবিদ। উপাচার্য সুরঞ্জন দাস বলেন, ‘আমরা কোনওভাবেই চাই না এই কোর্স বন্ধ হোক। বহু বছর ধরে প্রান্তিক, দরিদ্র ও দূরবর্তী জেলা থেকে পড়ুয়ারা এই সান্ধ্য বিভাগে পড়তে আসেন।’