বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথার সিঁদুর। বৈশাখী কেন সিঁদুর পরেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিধায়ক রত্না চট্টোপাধ্যায়। শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবীকে কড়া কথায় বিঁধেছিলেন তিনি। এবার সেই প্রশ্নের জবাব ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে দিলেন শোভন নিজেই। আর সেই ভিডিয়ো ফেসবুকে পোস্ট করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেখানে ক্যাপশানে লেখা হয়েছে, আমার সুরক্ষাকবচ। শোভন চট্টোপাধ্যায় সেই ভিডিয়ো বার্তায় বলেছেন, একেবারে ব্যক্তিগত কারণে এই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা তুলেছিলাম। তার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছিল। বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সাক্ষ্য দিতে আসেন তখন করিডরে বিভিন্নভাবে বাধা তৈরি করেছিল। তা সত্ত্বেও সাক্ষ্য প্রদান চলেছিল। গতকাল লক্ষ্য করলাম ৪০-৫০জন কোর্টরুমের বাইরে…বিভিন্ন ব্যাপারে তাকে যে অঙ্গভঙ্গি, সন্ত্রস্ত্র করার চেষ্টা হয়েছিল। আমি বাধ্য হয়েছিলাম পুলিশের সাহায্যের জন্য…
শোভন বলেন, আমি স্বেচ্ছায় সব ছেড়ে এসেছি। …২২ বছরের অভিজ্ঞতায় বুঝলাম এক ছেলেধরা মহিলার সঙ্গে আবদ্ধ হয়েছি। সেদিনই মামলা করেছি। দুশ্চরিত্র অপবাদ দিতে বাধে নি। আপনি বৈশাখীকে ছেলেধরা বলছেন? বৈশাখী যেদিন স্বামীর সঙ্গে তার পছন্দ হয়নি, ছেড়ে চলে গিয়েছে, পরস্পরের থেকে দূরে চলে গিয়েছেন।… আপনি নিজে আয়নার দিকে তাকান।
বৈশাখী সঙ্গে তার স্বামীর বিচ্ছেদ হয়েছে। তার সিঁদুর পরা নিয়ে আপনার বলার অধিকার কোথায়? বৈশাখী যদি সিঁদুর পরেন তার উপদেশ বা অনুরোধ কেউ করে থাকে তার নাম শোভন চট্টোপাধ্যায়। কারণ আমি মনে করি নিশ্চয়ই বৈশাখী সিঁদুর পরবে, মঙ্গলসূত্র পরবে যতদিন আমি বেঁচে থাকব। আমি আশা করব, বৈশাখীর এই সিঁদুর আর মঙ্গলসূত্র তার শ্রীবৃদ্ধির জন্য সঙ্গে যেন সবসময় থাকে। আর আপনাকে সিঁদুর পরতে কে বারণ করেছে? আপনি সীমারেখা অতিক্রম করবেন না।…
বৈশাখী তার নিজের পরিচয়ে ছোট্ট মহুলকে বড় করে তুলছে। স্পষ্ট কথা শোভনের।
এবার দেখা যাক ঠিক কী বলেছিলেন রত্না?
রত্না বলেছিলেন, ভয়ের কোনও কারণ নেই। উনি তো ছেলেধরা। কেউ ওনাকে কিছু করবে না। এর সঙ্গেই বৈশাখীকে নিশানা করে রত্নার সংযোজন, কেন সিঁদুর পরেন বৈশাখী? ওনার তো ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। নিজের মেয়েটাকে কেন বার বার আমার স্বামীর সন্তান বলে সব জায়গায় পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করছেন?
এরপরই বৈশাখীকে তীব্রভাবে বিঁধেছেন রত্না। তিনি বলেছিলেন, উনি নোংরা। এমনিতেই টিভিতে যেভাবে নেচেছে ওনাদের কেউ ভদ্রলোক বলে মনে করেন না।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup