আরজি করে চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় প্রথম থেকেই শিরোনামে ছিলেন তৎকালীন নগরপাল বিনীত গোয়েল। এই বিনীতের হাতেই লালবাজারে গিয়ে তাঁর পদত্যাগের দাবির স্মারকলিপি জমা দিয়ে এসেছিলেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। পরে ডাক্তারদের আন্দোলের মুখে বিনীতকে সরানো হয়েছিল 'তাঁর পছন্দের পদে'। সেই বিনীত গোয়েল ফের আরজি কর মামলায় শিরোনামে উঠে এসেছেন। এর আগে বিনীতের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল অভিযুক্তদের আড়াল করার। আর এবার বিনীত গোয়েলের নাম নিয়ে ধৃত সঞ্জয় রায় দাবি করছে, তাকে ফাঁসানোর নেপথ্যে আছেন কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার। (আরও পড়ুন: আদালতে সঞ্জয়কে দেখে চিনতেই পারেননি আরজি করের নির্যাতিতার বাবা)
আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ মামলা নিয়ে নয়া আপডেট, সুপ্রিম কোর্টে নয়া প্রধান বিচারপতি আসতেই...
এদিকে এর আগে সঞ্জয় রায়ের বাইক নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়াতেও নাম উঠেছিল কলকাতা পুলিশ কমিশনারের। তখন সেই পদে বিনীত গোয়েল। দাবি করা হয়েছিল, সঞ্জয় রায় 'কেপি' লেখা যে বাইক ব্যবহার করত, সেটা ছিল পুলিশেরই। এবং সেই বাইক রয়েছে কমিশনারের নামে। পরে পুলিশ স্পষ্ট করে জানায়, কলকাতা পুলিশের অধীনে কেনা সব যানবাহনই থাকে কমিশনারের নামে। তবে তাতেও প্রশ্ন থেকে যায়, সিভিক ভলান্টিয়ার পদে থাকা সঞ্জয়কে কে পুলিশের বাইক ব্যবহার করতে দেয়। (আরও পড়ুন: মেট্রোর 'সবথেকে কঠিন কাজ' শুরু, শেষ ধাপে সুড়ঙ্গে বসানো হচ্ছে বিশেষ স্টিলের রিং)
আরও পড়ুন: জুড়েছে ২ রেলপথ, বাংলায় নয়া রুটে ট্রেন চালুর আগে অবশ্য ভোগান্তি লোকাল যাত্রীদের
প্রসঙ্গত, আরজি করের ঘটনায় একা কোনও একজন জড়িত থাকতে পারে না, এই দাবিই করে আসছেন আন্দোলনকারী। এদিকে পুলিশ দাবি করছিল, শুধুমাত্র সঞ্জয় রায়ই নাকি এই ঘটনা ঘটিয়েছে। সে নাকি স্বীকারও করেছে দোষ। তবে সোদপুরে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়ে বিনীত গোয়েল বলেছিলেন, 'যদি একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকে তাহলে ৪-৫ দিনে ধরা পড়বে।' অর্থাৎ, প্রাথমিক ভাবে যে দাবি করা হয়েছিল, তা থেকে সরে আসেন তিনি। যদিও গোটা বিষয়টাই তদন্ত সাপেক্ষ। এবং সরাসরি খুনের সঙ্গে যুক্ত আর কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি সিবিআই। পরে জোর গলায় বিনীতও একাধিকবার বলেছিলেন, পুলিশের লুকানোর কিছু নেই। তবে বিনীতকে পদ থেকে সরানোর দাবিতে অনড় থেকেছিলেন আন্দোলনকারীরা। এই আবহে দুর্গাপুজোর আগেই বিনীত গোয়েলকে 'তাঁর পছন্দের পদে' বদলি করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরই মাঝে আবার নির্যাতিতা চিকিৎসকের নাম জনসমক্ষে প্রকাশ করার ঘটনায় বিনীত গয়োলের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। তবে বিগত কয়েক মাস এই মামলার সঙ্গে আর সরাসরি জড়িত নন বিনীত গোয়েল। তাও গতকাল ফের উঠল বিনীত গোয়েলের নাম। (আরও পড়ুন: 'উধাও' সরকারের ৪০ লাখ, ভাতা পাচ্ছে না মানুষ, বিস্ফোরক অভিযোগ TMC কাউন্সিলরেরই)
আরও পড়ুন: কাজের জন্যে মেট্রোর পরিষেবায় পরিবর্তন, নাজেহাল নিত্যযাত্রীরা, কী বলছে রেল?
উল্লেখ্য, আরজি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। এই আবহে গতকাল আদালত থেকে তাকে বের করার সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে সঞ্জয় চেঁচিয়ে বলতে থাকে, 'আমি কিছু করিনি, আমায় ফাঁসিয়েছে বিনীত গোয়েল।' সঞ্জয় আরও বলে, 'আমাকে বলতে দিচ্ছে না। আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। বড়় বড় অফিসাররা ফাঁসিয়েছে। …ওদের জিজ্ঞাসা করুন, ওরা সব জানে। ওরাই জানে যে আমাকে কেন ফাঁসানো হয়েছে।'