বাস ভাড়া নিয়ে নানা সময় নানা অভিযোগ ওঠে। যাত্রীদের একাংশের সঙ্গে বাসের কন্ডাক্টরদের এনিয়ে বচসা লেগেই থাকে। তবে এবার নিয়মের বাইরে গিয়ে এই অতিরিক্ত বাস ভাড়া নেওয়া হলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে পরিবরহণ দফতর।
মূলত যে অভিযোগটা উঠছিল যে ফ্র্যাঞ্চাইজিতে বেশ কিছু বাস সরকার চালানোর জন্য় এজেন্সির হাতে দিয়েছে। কিন্তু সেই বাসগুলির ক্ষেত্রে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে এই বাসগুলিতে যার কাছ থেকে যেমন খুশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এবার এনিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিতে দেওয়া সরকারি বাসে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হলে বাস মালিকদের সঙ্গে রাজ্য সরকার চুক্তি বাতিল করে দেবে।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছিলেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিতে নেওয়া সব বাসে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা টাঙানো হবে। বাস কোনওভাবেই কাটা রুটে চালানো চলবে না। পরিবহণ দফতরের ডিপোতেই বাসগুলিকে রাতে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে কোনও অনিয়ম হলেই সেই মালিকের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হবে। জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী।
একাধিক রুটে বিভিন্ন এজেন্সিকে বাস চালানোর দায়িত্ব দিয়েছে সরকার। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে সরকারের বেঁধে দেওয়া নিয়ম তারা মানতে চাইছেন না। এরপরই এনিয়ে নড়েচড়ে বসছে সরকার।
এনিয়ে ফ্রাঞ্চাইজিতে যে সমস্ত এজেন্সি সরকারের কাছ থেকে বাস নিয়েছিল তাদের ডেকে সতর্ক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হচ্ছে যদি এই ধরনের নিয়ম তারা না মানেন তবে তাদের সঙ্গে যে চুক্তি রয়েছে তা বাতিল করা হবে।
ঠিক কী ধরনের অনিয়ম তারা করছেন?
যাত্রীদের একাংশের দাবি, মূল অভিযোগটা হল ভাড়া সংক্রান্ত। তারা কোনওভাবেই সঠিক ভাড়া নিচ্ছেন না। ন্যূনতম ভাড়া যেখানে ৮টাকা সেখানে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১০ টাকা। এনিয়ে রোজকার ঝামেলা হচ্ছে বাসের কন্ডাক্টরদের সঙ্গে। কিন্তু পরিস্থিতির বদল হচ্ছে না। সেই সঙ্গেই দূরত্ব অনুসারে বাসের ভাড়া নির্দিষ্ট করা আছে। কিন্তু সেটা মানা হচ্ছে না। যার কাছ থেকে যেমন খুশি ভাড়া দাবি করা হচ্ছে। নিজেদের মতো করে ভাড়ার তালিকা ঠিক করে নেওয়া হয়েছে।
এমনকী কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যাত্রী কম হলেই বাস ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসবের বিরুদ্ধে এবার কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার।