আলিপুর চিড়িয়াখানা। সাধারণত চিড়িয়াখানা মানেই সেখানে খাঁচার মধ্য়ে থাকে পশু পাখিরা। বাঘ, সিংহ, হরিণ নানা ধরনের পাখি সহ আরও কত কি। কিন্তু কখনও কি ভেবেছেন খাঁচার মধ্যে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে মানুষ? এবার শীতের মরশুমে দর্শকদের জন্য এবার থাকছে বিশেষ সুযোগ।
এবার পাখির খাঁচায় প্রবেশ করতে পারবেন সাধারণ দর্শনার্থীরা। সেজন্য় একটা বিরাট বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। সেখানে গিয়ে পাখির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ মিলবে। তবে কোনওভাবেই পাখির কোনওরকম ক্ষতি করা যাবে। কেবলমাত্র পাখির কাছাকাছি যাওয়া যাবে। আলিপুর চিড়িয়াখানার দেড়শ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই বিশেষ সুযোগ মিলবে এবারের শীতে। চলতি মাস থেকেই এই নতুন সুযোগ মিলবে আলিপুর চিড়িয়াখানায়।
আর শীতকাল মানেই তো কমলালেবু. হালকা রোদ আর চিড়িয়াখানা। বছরভর এই দিনটার জন্য মুখিয়ে থাকেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এখনও শীত পড়েনি বাংলায়। রাত আর ভোরের দিকে হালকা ঠান্ডার অনুভূতি থাকলেও দিনভর চড়া রোদ। তবে এই সময় থেকেই চিড়িয়াখানায় ভিড় হতে শুরু করে। তার আগে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। তবে এবার নতুন আকর্ষণ খাঁচার মধ্য়ে যেতে পারবে মানুষ। এককথায় অভিনব।
তবে ভিনরাজ্যের কিছু চিড়িয়াখানায় এই ধরনের সুবিধা থাকে। এবার আলিপুর চিড়িয়াখানাতেও সেই সুযোগ মিলবে। কাঁচ দিয়ে মোড়া থাকবে খাঁচার একাংশ। নির্দিষ্ট পথ ধরে হাঁটতে হবে দর্শকদের। ১২ ধরনের পাখি থাকছে খাঁচায়। খাঁচার মধ্য়ে জলাশয়ও থাকবে। তবে সরাসরি দর্শকরা পাখিদের ধরতে পারবেন না। নির্দিষ্ট জায়গায় কাঁচের বাইরে থেকে তাদের সঙ্গে ছবি তোলা যাবে। সেখানে বসার জায়গাও করা হয়েছে। সেখানে কিছুক্ষণ জিরিয়ে নিতে পারবেন সব মিলিয়ে একেবারে অন্যরকম অনুভূতি।
তবে এবারের শীতে একাধিক নতুন অতিথি এসেছে চিড়িয়াখানায়। সেক্ষেত্রে এবার চিড়িয়াখানায় গেলে তাদের সঙ্গে দেখা হতে পারে আপনারও। পুজোর আগেই নন্দনকানন থেকে বাঘ, সিংহ, হিমালয়ান ভল্লুক, মাউজ ডিয়ার, জলহস্তী, সোয়াম্প ডিয়ার নিয়ে আসা হয়েছে। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি থেকে একজোড়া রয়াল বেঙ্গল টাইগার নিয়ে আসা হয়েছে। বেঙ্গল সাফারি থেকে চিতা বিড়াল নিয়ে আসা হচ্ছে। চিতাবাঘের মতো দেখত লাগে এইগুলিকে। বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী। এবারের শীতেই দেখতে পাবেন দর্শকরা। এছাড়াও আলিপুরে আরও একাধিক জীবজন্তু আনার চেষ্টা চলছে। প্রাচীন এই চিড়িয়াখানার অতিথি হবে আরও নানা জীবজন্তু।