বিয়েতে স্বেচ্ছায় কেউ য়দি বর বা কনেকে কোনও উপহার দেন, তাহলে সেটা কখনই পণ হিসেবে গণ্য করা যাবে না। এমনই পর্যবেক্ষণ শোনালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। নিতাই ঘোষ বনাম পশ্চিমবঙ্গের মামলার শুনানি চলাকালীন এই পর্যবেক্ষণ দেন বিচারপতি। উল্লেখ্য, নিতাই ঘোষের সঙ্গে সোমার বিয়ে হয়। বিয়ের রেজিস্ট্রেশনের ৪৪ দিন পর সোমা আত্মহত্যা করেন। অভিযোগ, নিতাই এবং তার পরিবার সোমার উপর পণ দাবি করে অত্যাচার চালাতো।
মামলাক এফআইএর-এ পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, বিয়ের সময়ে বরকে একটি সোনার চেন না দিতে পারায় সোমাকে অকথ্য গালিাগালাজ শউনতে হত। তবে নিতাই ঘোষের আইনজীবীর যুক্তি, অভিযোগে সরাসরি ভাবে কোথাও এটা বলা হয়নি যে বিয়ে করার জন্য পণ চাওয়া হয়েছে। না এরকম ধরনের কোনও তথ্য প্রমাণ মিলেছে। উল্লেখ্য, পণ সংক্রান্ত অধিকাংশ মামলাতেই পারিপার্শিক প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই রায় শোনানো হয়। তবে নিতাইয়ের আইনজীবীর আরও যুক্তি, সোমা ঘোষের মৃত্যুর পরই প্রথমবার পণ চাওয়ার অভিযোগ করা হয়। এর আগে তা কখনও করা হয়নি।
নিতাইয়ে আইনজীবীর যুক্তি, শুধু বিয়ের সময় পণ চাইলে তা বিচারযোগ্য অপরাধ। তাছাড়া নিতাইয়ের পক্ষের দাবি, সোমা বদমেজাজি ছিলেন এবং কোনও ঝগড়ার জেরে তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তাছাড়া তিনি নিজের বিরুদ্ধে ওঠা কোনও অভিযোগ চুপচাপ হজম করে নিতেন বলে মনে করা হয় না। সেক্ষেত্রে পণের দাবির কথা আগেই কেন সোমা নিজের পরিবারকে জানাননি। এই প্রশ্ন ওঠে। এদিকে সরকার পক্ষ এই মামলার ক্ষেত্রে সোমার মৃত্যুর কারণ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়।