বৃষ্টির জল জমে একেবারে ভয়াবহ অবস্থা যাদবপুরে। প্রতিবার বর্ষা এলেই এই নারকীয় অবস্থা তৈরি হয়। কিন্তু সেই জমা জলের কারণ খুঁজতে গিয়ে কার্যত হতবাক পুরকর্তারা। বাসিন্দাদের দাবি যাদবপুর থেকে লেকগার্ডেন্স, যোধপুর পার্ক থেকে ঢাকুরিয়া জমা জলে জেরবার বাসিন্দারা। এদিকে কারণ খুঁজে দেখার কাজ শুরু করেন পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা। সেই সন্ধানে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য়। মেট্রো প্রকল্পের কাজের জন্য খালের গতিপথ অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। নাব্যতা ও গতিপথে নিকাশি নালায় খালের গতিপথ ক্রমেই সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছে। এর জেরে জমা জল বের হওয়ার সুযোগ ক্রমশ কমছে।
গোটা এলাকা সরেজমিনে খতিয়ে দেখে কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা দেখেন নিকাশি খালগুলিতে পলি জমে গিয়েছে। সেই খালগুলির সংস্কার করবে পুরসভা। ড্রেজিং করে পলি তুলে ফেলা যায় কি না সেটাও দেখা হচ্ছে। যাদবপুর ৮ বি, নবীনা, ঢাকুরিয়ার বক্স ড্রেনগুলির মাধ্যমে এই জল যাদবপুর থানার কাছে মাটির তলায় নালায় পড়ে। সেখান থেকে গাঙ্গুলিবাগানের খাল হয়ে চৌবাগান পাম্পিং স্টেশনে যায় নিকাশি নালার জল। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের দাবি যাদবপুরের বেশ কিছু এলাকা নীচু। অন্যদিকে জল যেখানে যাওয়ার কথা সেটি অপেক্ষাকৃত উঁচু। সেকারণে জল বের হতে সময় লাগে।
আপাতত খালে লিফটিং মেশিন বসানোর কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ। খালের উপর লিফটিং স্টেশন করার পরিকল্পনা রয়েছে। এব্য়াপারে কলকাতা পুরসভার বরো কো অর্ডিনেটর তারকেশ্বর চক্রবর্তী বলেন, আমরা একটা নতুন পাম্পিং স্টেশন করতে চাইছি। ৯৩, ৯২.১০৪.১০৫য়ের জল সব পাম্পিং স্টেশনের মাধ্যমে চলে যাবে। কলকাতা পুরসভার প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য(নিকাশি) তারক সিং বলেন, টেকনিকাল অ্যাসেসমেন্ট করা হবে। সব দিক দেখা হচ্ছে।