কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকায় এখনও কার্যত জল জমে রয়েছে বিক্ষিপ্তভাবে। তবে কিছু জায়গায় জল নামতে শুরু করেছে। বাসিন্দাদের দাবি, বৃহস্পতিবার ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন এলাকায়। নিউ আলিপুর, বেহালা, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, গড়িয়াহাটের অভিজাত এলাকা জলের তলায় চলে যায়। কিন্তু কেন এমন পরিস্থিতি তৈরি হল? কেন বৃষ্টির পরেও জল নামতে এত সময় লেগে গেল? আর সেই জলযন্ত্রণার খোঁজ নিতে গিয়েই উঠে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। সূত্রের খবর, চেতলা লক গেটের পাম্পিং স্টেশনে যে ৪টি পাম্প মেশিন রয়েছে তার মাধ্যমে জমা জল খালে ফেলা হয়। অথচ গত ৩৬ ঘণ্টা সেই মেশিন চালানো হয়নি বলে অভিযোগ। পাম্প মেশিন বন্ধ থাকায় জল বের হওয়ার সুযোগ পায়নি।
এদিকে গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে কলকাতা পুরসভার নিকাশি বিভাগ। নিকাশি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য় তারক সিং জানিয়েছেন, ‘কোথাও তো একটা গাফিলতি রয়েছে। নইলে এত বড় ঘটনা কীভাবে ঘটল?’ ইতিমধ্যেই চেতলা লকগেটের নিকাশি পাম্প স্টেশন পরিদর্শন করেছেন তিনি। কেন এই ধরণের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা নিয়েও জানতে চান তিনি। গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি পাম্প স্টেশনে কর্মরত কর্মীদের ধমকও দেন। প্রশ্ন উঠছে তবে কী পাম্প চালাতে ভুলেই গিয়েছিলেন কর্মীরা?
তবে পুরসভা সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ওয়াটগঞ্জ, মোমিনপুর, খিদিরপুর এলাকায় প্রায় ১৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তার জেরে জলমগ্ন হয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। পুরসভার নিকাশি বিভাগের আধিকারিকদের মতে. পরিস্থিতি যেদিকে গিয়েছে তাতে আগামী দিন দুয়েক লাগবে এই জল নামতে। সময়মতো জল বের করার উদ্যোগ নিয়ে পরিস্থিতি হয়তো এতটা খারাপ হত না, এমনটাই মত পুরসভার আধিকারিকদের একাংশের।