একসময় বাংলায় প্রায় পাঁচ হাজার প্রজাতির ধান চাষ হতো। সে সবের অধিকাংশ লুপ্ত। তাঁর মধ্যে বেশকিছু প্রজাতির ধান কৃষকরা নিজ উদ্যোগে চাষ করেন। তেমনই ২৫ প্রজাতির ধান কৃষকদের থেকে সংগ্রহ করে চাষের উদ্যোগ দিচ্ছে রাজ্য সরকার। প্রাথমিক ভাবে মেদিনীপুরে জনপ্রিয় কবিরাজ শাল এবং বাঁকুড়ার দানাগুড়ি চাষ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে ৮০০ বিঘা জমিতে এই দুই প্রজাতির ধান চাষ হবে।
কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে দু'টি প্রজাতি দিয়ে শুরু করা হলেও আগামী দিনে ২৫০ প্রজাতির ধান চাষ করা হবে। এ জন্য কৃষকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধানের বীজ সংগ্রহ করা হবে। এই ধান চাষের মাধ্যমে কৃষকদের আয়ও বৃদ্ধি পাবে।
জীববৈচিত্র পর্ষদের সভাপতি ডঃ হিমাদ্রিশেখর দেবনাথ জানিয়েছেন, এ জন্য বীরভূমের বোলপুর, বাঁকুড়ার হীরাবাঁধ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়গোপালপুর এবং কুলতলিতে ধানের বীজ সংগ্রহশালা বা সিড ব্যাঙ্ক তৈরি করা হয়েছে। সেখানেই কৃষকদের থেকে সংগ্রহ করা ধানের বীজ রাখা হবে।
প্রশ্ন হল, এই ধান চাষ কি আদৌ লাভজনক হবে কৃষকদের কাছে? কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, চলতি ধান চাষ করে যে পরিমাণ আয় হয় তা হয়তো প্রথম দিকে হবে। তবে চালগুলি বাজারে জনপ্রিয় করে তোলার উদ্যোগ নিলে কৃষকের আয়ের মুখ দেখবেন। তা ছাড়া শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও এই চালগুলি বাজার চলতি চালের থেকে অনেক এগিয়ে।
সূত্রের খবর, কৃষকের যাতে এই চাল চাষ করতে আগ্রহী হন সেজন্য তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কলকাতার গবেষকরাও এ ব্যাপারে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।