তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চ থেকে গতকালই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন যে ধর্ষণ বিরোধী বিল পেশ করা হবে রাজ্য বিধানসভায়। এই আবহে গতকালই মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই সংক্রান্ত বিলের প্রস্তাব সবুজ সংকেত পেয়েছে। এই আবহে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর বিধানসভা বিলটি পেশ হতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে টিভি৯ বাংলর রিপোর্টে। উল্লেখ্য, ২ সেপ্টেম্বর থেকে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে। আর অধিবেশনের সূচনার একদিন পরই ধর্ষণ বিরোধী বিল পেশ করা হবে বিধানসভায়। এদিকে এই বিশেষ অধিবেশন ডাার বিষয়ে অবশ্য বিরোধিতার সুর শোনা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর গলায়। তাঁর অভিযোগ, এভাবে বিশেষ অধিবেশন ডাকার 'এক্তিয়ার' মুখ্যমন্ত্রীর নেই।
প্রসঙ্গত, আরজি কর কাণ্ডের পর থেকেই সাধারণ মানুষদের মধ্যে অনেকেই সরকারের ভূমিকা নিয়ে অসন্তুষ্ট। অনেকেরই মনে সন্দেহ জন্মেছে, শাসকদল কি অপরাধীদের আড়াল করার চেষ্টা করছে? সরকারেরই কিছু ভুলে যে এই 'ধারণা' সাধারণ মানুষের মনে জন্মেছে, তা এর আগে অকপটে স্বীকার করেছিলেন কুণাল ঘোষ। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র আরজি কর থেকে বৃহত্তর সামাজিক প্রেক্ষাপটে নিয়ে গিয়ে নজর ফেলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডের পর সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তা নামা মহিলাদের মন ফের একবার ফিরে পেতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। এই আবহে এই ধর্ষণ বিরোধী বিল তৃণমূলের কাছে 'তুরুপের তাস' হতে পারে বল মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
উল্লেখ্য, গতকালই নবান্নে অনুষ্ঠিত হয়েছিল রাজ্য ক্যাবিনেট বৈঠক। সেই বৈঠকের আগেই টিএমসিপির মঞ্চ থেকে ধর্ষণ বিরোধী আইন আার কথা বলেছিলেন মমতা। আর নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকেই সেই ধর্ষণ বিরোধী বিল আনার বিষয়টি উত্থাপিত হয়। অনুমোদন পায় সেই সংক্রান্ত প্রস্তাব। এই আবহে ধর্ষণ বিরোধী আইনের ড্রাফ্ট তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে। এর আগে টিএমসিপির মঞ্চ থেকে মমতা এই নিয়ে বলেছিলেন, 'আমি পরের সপ্তাহে অধ্যক্ষকে বলে অধিবেশনের ডাক দেব। আমরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার পক্ষ থেকে আগামী দশ দিনের মধ্যে ধর্ষকের ফাঁসির পক্ষে এই বিল পাশ করে রাজ্যপালের কাছে পাঠাব।' পরে রাজ্যপালকে তোপ দেগে তিনি আরও বলেছিলেন, 'আমি জানি রাজার পাঠ। রাজাবাবু কিছু করবে না। না করলে মেয়েরা রাজভবনে গিয়ে বসে থাকবেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এই বিল সই করতে হবে। আর রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়ে দিয়ে দায়িত্ব সারলে হবে না।'