হাতে সময় বেশি নেই। আর ৯ দিন পরই জানুয়ারি মাস শেষ। শুরু হয়ে যাবে নতুন মাস ফেব্রুয়ারি। আর ওই মাসের ১২ তারিখে শুরু হতে পারে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। তেমনই প্রস্তুতি শুরু হয়েছে বিধানসভায় এবং নবান্নে। অফিসারদের সূত্রে খবর, আগামী মাসের ১২ তারিখ বিধানসভার অধিবেশন হবে ধরে নিয়ে নথিপত্র প্রস্তুত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই নথিপত্র বিধানসভায় পেশ করা হবে। এমনকী কোন কোন প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো হবে তা নিয়েও কাজ চলছে। এই বাজেট অধিবেশন চলবে দু’সপ্তাহ ধরে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এটিই রাজ্যের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তাই এই বাজেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কেন্দ্রীয় সরকার নানা প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের। বকেয়া পড়ে রয়েছে বিপুল। সেইসব নথি পেশ করা হবে বিধানসভার ওই অধিবেশনে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট। সেটা দেখে নেওয়া হবে। তারপর বাংলাকে কোন কোন খাতে বঞ্চিত করা হল সেটাও নথি–সহ তুলে ধরা হবে বিধানসভায়। বদলে রাজ্য সরকার মানুষকে কেমন করে এই বঞ্চনার হাত থেকে রক্ষা করবে সেটাও উল্লেখ করা হবে অধিবেশনে বলে সূত্রের খবর। প্রথমে ঠিক হয়েছিল, ৭ ফেব্রুয়ারি রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। পরে এই বাজেটের গুরুত্ব বুঝে অতিরিক্ত সময় হাতে রাখছে রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: আবার বাড়তে চলেছে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, কত হবে টাকার অঙ্ক? ইঙ্গিত স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি তারিখকেই ঠিক করা হয়েছে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের জন্য। এই অতিরিক্ত সময় নেওয়া হয়েছে দুটি কারণে। এক, কেন্দ্রীয় বাজেট দেখে নেওয়া যাবে। দুই, একাধিক নথি প্রস্তুতির সময় মিলবে। যা বিরোধীদের সামনে নিয়ে আসা হবে। সেই প্রস্তুতিই এখন শুরু হয়েছে। এখন কিছুদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নানা জেলায় সফর রয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক নবান্নের এক অফিসার জানান, এবারের বাজেটে বেশ কয়েকটি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা হতে পারে। রূপশ্রী, কন্যাশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পগুলিতে অতিরিক্ত অর্থ বরাদ্দ করা হচ্ছে। কেন্দ্রের বাজেটে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ কেমন থাকছে সেটা দেখে নিয়ে বাজেটে বাড়তি বরাদ্দ করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে এই বাজেটে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তাকিয়ে আছেন মহার্ঘ ভাতার দিকে। সেটা কতটা বৃদ্ধি পাবে জানতে চায় তাঁরা। সামাজিক প্রকল্পে আরও কত বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হল সেদিকে তাকিয়ে আছেন আমজনতা। একাধিক রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠনগুলি বাজেটের দিকে তাকিয়ে আছে। তাঁরা কেন্দ্রীয় বাজেট এবং রাজ্য বাজেটের তুল্যমূল্য বিচার করবেন। সম্প্রতি অষ্টম পে কমিশন ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন–মহার্ঘ ভাতার মধ্যে পার্থক্য কতটা বাড়ল সেটাও দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন তাঁরা। তবে রাজ্য সরকার এই বাজেটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য কী ঘোষণা করে সেটাও দেখার বিষয়।