সোমবার বিধানসভায় পরিষদীয় বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই বৈঠকেই রাজ্যের বিধায়কদের একমঞ্চে আনলেন মুখ্যমন্ত্রী। সৌজন্যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ। কিন্তু এই আবহে আজ, মঙ্গলবার নবনির্বাচিত এবং শপথ নেওয়া ছয় বিধায়ক জোর ধমক খেলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তাতেই তাঁরা হকচকিয়ে যান। কারণ তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। সদ্য জিতে এসেছেন কঠিন উপনির্বাচন থেকে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বিধানসভায় এসে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। আর সেখানে দলের বিধায়ক তথা স্পিকারের কাছে ধমক খেতে হল। এতেই চমকে যান তাঁরা।
কাজের প্রথম দিন আজকেই। সুতরাং সময়ের মধ্যে বিধানসভার অধিবেশনে আসার কথা বিধায়কদের। সেখানে ‘লেট’ করে বিধানসভায় প্রবেশ করলেন সদ্য জয়ী ৬ জন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। আর তাই অধ্যক্ষের ক্ষোভের মুখে পড়লেন নয়া ৬ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা। গতকালই এই ৬ জন বিধায়ক শপথ নিয়েছেন। আজ, মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই নয়া বিধায়কদের এমন আচরণ দেখে কার্যত ক্ষুব্ধ হন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই তাঁর গলায় শোনা গেল ধমকের সুর। এই ৬ জন সদ্য জয়ী বিধায়ক স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধমক শুনলেন, ‘সবে বিধায়ক হয়েছেন। আর নতুন বিধায়ক হয়েই লেট।’
আরও পড়ুন: ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল তৃণমূল কংগ্রেস লেজিসলেটিভ মেম্বারস’, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে চমক কী?
এই কথা ওই ৬ জন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশ করতে পারবেন না। কারণ সময় মেনে চলার পক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বিধানসভায় শেষ কথা অধ্যক্ষই। তা পছন্দ হোক বা না হোক। তবে এই ৬ জন বিধায়ক ধমক খেয়ে তাঁদের মোটেও ভাল লাগেনি। সবার সামনে এভাবে বলায় খারাপ লেগেছে তাঁদের। কারণ স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ধমক দিচ্ছিলেন তখন বিরোধী দলের বিধায়করাও ছিলেন। সুতরাং এমন ধমক ভাল লাগার কথা নয়। সেটা লাগেনি বলেই সূত্রের খবর। ধমকের সুরে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গেল, ‘সদ্য শপথ নিয়েছেন আপনারা! আর আপনারাই অধিবেশন শুরু হওয়ার পর বিধানসভায় আসছেন?’
এছাড়া অধ্যক্ষের ধমকের কোনও জবাব দেননি তাঁরা। মাথানিচু করে যে যাঁর আসনে গিয়ে বসে পড়েন। বিধানসভার যে একটা নিয়ম আছে সেটা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের দলের বিধায়ক বলে রেয়াত করেননি। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘১১টায় অধিবেশন শুরু হয়। সাড়ে ১০টার মধ্যে অধিবেশনে আসবেন। এখন এসে আপনারা আপনাদের আসন খুঁজে বেড়াবেন এটা একেবারেই ঠিক নয়। বিধানসভায় প্রশ্ন জমা দেবেন আর সঠিক সময়ে আসবেন। এটা চলতে পারে না। অধিবেশন শুরু হওয়ার পরে কেন বিধানসভায় আসছেন?’ সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী পরিষদীয় দলের বৈঠকে এই নিয়ে সতর্ক করেছিলেন দলীয় বিধায়কদের।