কেন্দ্রে বিজেপি সরকার গঠন হয়নি। হতে চলেছে এনডিএ সরকার। যার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদী। বাংলাতেও তৃণমূল কংগ্রেস জিতে নিয়েছে ২৯টি লোকসভা আসন। ফলে ভোট এখানেই শেষ। কিন্তু বাংলার দুই উপনির্বাচনেও তৃণমূল কংগ্রেস জয় পেয়েছে। মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা এবং উত্তর কলকাতার বরাহনগর। আর তারপরই আজ, শুক্রবার বিধানসভায় পা রাখলেন নবনির্বাচিত বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি শুধু একা নন, আজ বিধানসভায় আসেন নবনির্বাচিত সাংসদ সায়নী ঘোষও। তার সঙ্গে দেখা যায় বাঁকুড়ায় বিজেপির মন্ত্রীকে হারানো তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অরূপ চক্রবর্তীকেও।
এদিকে সায়নী বা সায়ন্তিকার ক্ষেত্রে অন্য কোনও পরিষদীয় কাজ ছিল না। কিন্তু অরূপ চক্রবর্তী বিধায়ক ছিলেন। যিনি সাংসদ হলেন। তাই তিনি বিধায়ক পদ ছাড়বেন।সেই কারণে তাঁর অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করাটা জরুরি বিষয় ছিল। কিন্তু এতদিন অধ্যক্ষের আমন্ত্রণ থাকলেও কেন বিধানসভায় আসেননি সায়নী–সায়ন্তিকা? এই প্রশ্ন উঠতেই দুই নেত্রী প্রকাশ করলেন আসল কারণ। বাস্তবে দু’জনকেই ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। দু’জনেই কিন্তু হেরে যান। তাই তাঁরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন না জিতলে এখানে আসবেন না।
আরও পড়ুন: ‘এই পরাজয় মানতে পারছি না’, মহুয়ার কাছে হেরে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ অমৃতা রায়ের
অন্যদিকে এই কারণে গত তিন বছরে একবারও তাঁরা পা রাখেননি বিধানসভার কক্ষে। এবার জয়লাভ করে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েই পা রাখলেন সাদা বাড়িটিতে। আর সায়ন্তিকা বিধানসভায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘একুশের বিধানসভা নির্বাচনে যখন হেরেছিলাম তখনই ঠিক করেছিলাম, বিধানসভায় যদি যাই তাহলে জিতেই যাব। আবার সুযোগ পেলাম। টানা দু’মাসের লড়াই। অবশেষে যখন লক্ষ্যে পৌঁছলাম তখন অনেকটা শান্তি লাগল। অধ্যক্ষ বারবারই আমাকে বিধানসভায় আমন্ত্রণ করেছিলেন। আজ অধিকার অর্জন করেই বিধানসভায় এলাম। পা রাখলাম বিধানসভায়।’
বরাহনগরের মানুষ কি সায়ন্তিকাকে পাবেন? এই প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। আসলে তিনি অভিনেত্রীও। তাই দু’দিক সামলাতে অসুবিধা হবে কিনা জানতে চাওয়া হয়। জবাবে সায়ন্তিকার বক্তব্য, ‘গত দু’মাস বরাহনগরের মানুষ যখন আমাকে পেয়েছেন, আমি তাঁদের কাছে গিয়েছিলাম, বাকি দু’বছরও তাঁরা আমাকে পাবেন। ২০২৬ সালে আবার বিধানসভা নির্বাচন আছে। এই দু’বছর যথেষ্ট সময় কাজ করার জন্য। বরাহনগরে জল জমার একটা সমস্যা আছে। সেটা ঠিক করতে হবে। তার উপর অনেকগুলি কাজ আছে ওখানে করার জন্য। তাই সায়ন্তিকাকে বরাহনগরের মানুষ সবসময় পাবে।’