এবার বিধানসভার অন্দরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কক্ষে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এখন বিধানসভার অধিবেশন চলছে। তার মধ্যেই নিরাপত্তায় এমন আয়োজন করল রাজ্য প্রশাসন। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেই বসানো হয়েছে এক জোড়া সিসিটিভি ক্যামেরা। কিন্তু কেন এমন করা হল? সেটা নিয়ে খোলসা করে কেউ কিছু বলেননি। তবে এই কাজ ইতিমধ্যেই শেষ করেছে পূর্ত দফতর। পুলিশের পক্ষ থেকেও কিছু জানানো হয়নি। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান খুব সাধারণ জীবনযাপন করেন। বৈভবের জীবনযাপন তিনি পছন্দ করেন না। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর ঘরেই ক্যামেরার বসানো আসলে নিরাপত্তা বাড়ানো বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
মুখ্যমন্ত্রীকে কেউ কোনও হুমকি দেয়নি। তবে বেশ কয়েকবার মুখ্যমন্ত্রীর দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে শাসক–বিরোধী অনেক নেতারাই এসে থাকেন। দেখা করেন। তাই সুরক্ষা ব্যবস্থা বিশেষ প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ জীবনযাপন করেন বলেই তাঁর কালীঘাটের বাসভবনে একজন ঢুকে পড়ে রাত কাটিয়েছিল। যাকে সকালে ধরে ফেলা হয়। আবার কালীঘাটের বাসভবনে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এসে ঢুকতে গিয়ে ধরা পড়েছিল একজন। আসলে তারা মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধী বলে হামলা করতে এসেছিল বলে অভিযোগ। বিধানসভাতেও যদি এমন কিছু ঘটে! তাই আগাম সুরক্ষা এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার রিকসা চালিয়ে বিধানসভা যাত্রা করলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী, এক্স হ্যান্ডেলে দিলেন খোঁচাও
এখন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা অনেক পাল্টেছে। বিধানসভায় এখন বাজেট অধিবেশন চলছে। অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের বাজেট পেশের পর শনিবার এবং রবিবার–সহ চারদিন ছুটি ছিল। তখনই পুলিশের নেতৃত্বে ক্যামেরা বসিয়েছে পূর্ত দফতর বলে সূত্রের খবর। পুলিশ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভা ঘরের দু’পাশের দেওয়ালে দু’টি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই ঘরের পাশেই তাঁর সচিবদের ঘরে ‘মনিটর স্ক্রিন’ বসানো হয়েছে। স্পিকারের তত্ত্বাবধানে কলকাতা পুলিশ বিধানসভা ভবনকে ঘিরে রাখে। ভিভিআইপি করিডরে গোয়েন্দা পুলিশ থাকে। ওই করিডরের একদিকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পাশে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মলয় ঘটক, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমের ঘর। ঘরগুলির সামনের বারান্দাগুলি লোহার জাল দিয়ে ঘেরা।
অধিবেশন চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আসলে ওই করিডর তাঁর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মীদের দখলে চলে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় বিধানসভায় তাঁর যাতায়াতের পথও এখন বদল করা হয়েছে। এবার যোগ হয়েছে জোড়া ক্যামেরা। এই বিষয়ে এক পুলিশ অফিসার বলেন, ‘বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের মতো নন। তিনি বিধানসভায় এসে দলের মন্ত্রী, বিধায়ক এবং নেতাদের ডেকে কথা বলেন। অনেক সময়ই দেখা যায়, একসঙ্গে দলবদ্ধভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে যান বিধায়করা। তাই এই নিরাপত্তা অত্যন্ত জরুরি।’