কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির কোনও মুখ্যমন্ত্রীই নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না। এর আগে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনও জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি এই বৈঠক 'বয়কট' করবেন। তবে কংগ্রেস এবং স্ট্যালিনের পথে না হেঁটে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন তিনি নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন। তাঁর কথায়, বাজেটে বৈষম্যের বিষয়টি নিয়ে ইন্ডিয়া ব্লকের জোটসঙ্গীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। তবে বাংলার স্বার্থে তিনি যোগ দেবেন নীতি আয়োগের বৈঠকে। এর আগে বিভিন্ন দফতরের কাছে মমতা সম্প্রতি বকেয়ার হিসেব চেয়েছিলেন। এই আবহে মমতা জানিয়েছেন, নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের মিটিংয়ে যোগ দিয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে বাংলার সেই সব বকেয়া মেটানোর দাবি তুলবেন। (আরও পড়ুন: উন্নয়নের আছিলায় রাজ্যভাগের চক্রান্ত করছে বিজেপি, গুরুতর অভিযোগ তৃণমূলের)
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, নীতি আয়োগের বৈঠের যোগ দেওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে অংশগ্রহণকারীদের লিখিত বক্তব্য চাওয়া হয়েছে। এই নিয়ে মমতার বক্তব্য, 'যা বলার, তা আমি বৈঠকে বলব। সবাই লিখিত বক্তব্য পাঠ করে না।' পাশাপাশি তিনি এও জানান, রাজ্যের যে বকেয়া পড়ে রয়েছে, সেটার খসড়া কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বৈঠকে রাজ্যের ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা বকেয়ার কথা জানাবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই আবহে বৃহস্পতিবার দিল্লি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়ে পিএমও-র কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছে মমতার তরফ থেকে।
বাজেটে বৈষম্যের অভিযোগ তুলে আগামী ২৭ জুলাই নীতি আয়োগের বৈঠকে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের দলগুলি এই নিয়ে বৈঠকেও বসেছিল। সেখানে কংগ্রেস প্রস্তাব দিয়েছিল, বিরোধী শাসিত কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই যেন নীতি আয়োগের বৈঠকে না যান। সেই বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভায় দলের নেতা ডেরেক ও'ব্রায়েন। তিনি সেখানেই জানিয়ে দিয়েছিলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন। তৃণমূল অবশ্য জানায়, বাজেট আলোচনায় বৈষম্যের বিষয়টি উত্থাপন করে তাঁরা সরব হবেন। ইতিমধ্যেই বাজেট আলোচনার শুরুতেই লোকসভায় এই নিয়ে সর হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
মোদী ৩.০ যে প্রথম পেশ বাজেট পেশ করেছে, তা নিয়ে ‘BUDGET’-এর ফুলফর্ম ‘ব্যাখ্যা’ করে সরকারকে আক্রমণ শানান অভিষেক। লোসভায় দাঁড়িয়ে অভিষেক দাবি করেন, 'B'-র অর্থ হল ‘বিট্রেয়াল’ (বিশ্বাসঘাতকতা)। ‘U’-র অর্থ হল ‘আনএম্প্লয়মেন্ট’ (বেকারত্ব)। ‘D’-র অর্থ হল ‘ডিপ্রাইভ’ (বঞ্চনা)। ‘G’-র অর্থ হল ‘গ্যারান্টি’ (অভিষেকের অভিযোগ, এই গ্যারান্টি আদতে দুর্নীতিতে পরিণত হয়েছে)। ‘E’-র অর্থ হল ‘এক্সেন্ট্রিক’ (খামখেয়ালি)। ‘T’-র অর্থ হল 'ট্র্যাজেডি' (বিপর্যয়)।