একের পর এক গণপিটুনির ঘটনায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে রাজ্যে। তারই মধ্যে এবার সামনে এসেছে আড়িয়াদহ ঘটনার ভিডিয়ো। তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তাতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। যেখানে দেখা গিয়েছে, নির্মমভাবে এক নাবালকের গোপনাঙ্গ সাঁড়াশি দিয়ে চেপে ধরা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। এবার এই ইস্যুতে মুম্বই যাওয়ার আগে প্রথমবার মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপনির্বাচন প্রভাবিত করতেই পুরনো ভিডিয়ো সামনে আনা হয়েছিল বলে বিজেপির উদ্দেশে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে আজ, বৃহস্পতিবার দুপুরে মুম্বই রওনা হওয়ার আগে বিমানবন্দরে আড়িয়াদহ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি এবং সংবাদমাধ্যমের একাংশকেও। বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে ড্যামেজ করতেই ৭২ ঘণ্টা আগে থেকে পুরনো ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনা ২০২১ সালের। যে ভিডিয়ো ঘিরে এত তোলপাড় চলছে সেটা পুরনো। সে সময় সাংসদ ছিলেন অর্জুন সিং। গোটা বিষয়টি যাচাই না করেই খবর ছড়ানো হচ্ছে। তিলকে তাল করে দেখানো হচ্ছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই আড়িয়াদহের ঘটনায় ব্যবস্থা নিয়েছে। যারা দোষ করেছে তারা জেলে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ভরা আষাঢ়েও দেখা নেই ইলিশের, এক ভোলাতেই কেল্লাফতে সমুদ্রসৈকতের মৎস্যজীবীদের
অন্যদিকে আড়িয়াদহের মা–ছেলেকে মারধর করার ঘটনায় জয়ন্ত সিং ইতিমধ্যেই জেলে আছে। জেলে থাকাকালীনই ওই পুরনো ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। তার ভিত্তিতে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছে। জয়ন্তর সাত শাগরেদকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ, বৃহস্পতিবার সকালেই জয়ন্তের ‘ডানহাত’ লাল্টুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আর কোনও খবর নেই। একটাই খবর। তৃণমূল দেখলেই জব্বর খবর। আর যে মানুষগুলি শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট দিল। একটা মানুষ ভুল করতে পারে, হাজারটা নয়। যদি কেউ করে থাকে তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন হবে। ২৯ জন গ্রেফতার হয়েছে।’
এছাড়া অর্জুন সিংয়ের নাম উঠতেই ফোঁস করে উঠলেন তিনি। অর্জুনের কটাক্ষ, ‘বাংলার মানুষের দুর্ভাগ্য এটাই যে মুখ্যমন্ত্রী জানেন না বেলঘরিয়া ব্যারাকপুরের মধ্যে পড়ে নাকি দমদমের মধ্যে পড়ে। দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। জয়ন্ত একটা ডাকাত একটা চোর। ২০২১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর তাণ্ডব করেছিল। আর আমাকে নিশানা করেছেন, আমাকে খুব ভালবাসেন তো। উনি ডিসব্যালান্সড হয়ে যাচ্ছেন।’ মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘উপনির্বাচনে একটা বুথে কী হয়েছে, সেটাকে বড় করে দেখানো হচ্ছে। বাকি জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে যে মানুষ ভোট দিয়েছেন সেটা দেখানো হচ্ছে না। ক্রস চেক করে খবর করুন। এটা আবেদন করলাম। তাতে কাজ না হলে আইনি পথে যাব।’