আজ মহালয়া। পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয়েছে। সকাল থেকেই ঘাটে ঘাটে তর্পণ চলছে। হাতে আর বেশি সময় নেই। আর একসপ্তাহ পর গোটা রাজ্য মেতে উঠবে শারদ উৎসবে। এই আবহে আজ, বুধবার ভোরে মহালয়ার তপর্ণেও আরজি কর হাসপাতালের ছায়া দেখা গিয়েছে। বিচারের দাবিতে সাতসকালে অনেককে গঙ্গায় প্রদীপ ভাসিয়েছে। আর দুপুরে শহরের রাজপথে বেরিয়েছে ডাক্তারদের মিছিল। তবে এদিন দুপুরেই কলকাতার নামকরা পুজোগুলির উদ্বোধন শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতা–সহ জেলার একাধিক দুর্গাপুজোর উদ্বোধন শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন নজরুল মঞ্চে জাগো বাংলার উৎসব সংখ্যার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ মঞ্চ থেকে কেন পুজো করব, কেন উৎসব? এসব প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে বলেন কেন পুজো করব, কেন উৎসব করব? কথাতেই আছে ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। আমরা সব কাজ করি, ধর্ম কর্মও মানি। সর্ব ধর্ম সমন্বয়, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের কথা। আমরা সেটাই করে থাকি। সবাইকে নিয়ে চলার মধ্যে একটা প্রাণ আছে। যাঁরা কাজ করে তাঁরা নিঃশব্দে কাজ করে। আর যাঁরা কাজ করে না তাঁরা বকে বেশি। আমি চাই, কথা কম, কাজ বেশি।’
আরও পড়ুন: ওসিকে কাদা জলে নামিয়ে বিক্ষোভ, ছাত্র মৃত্যুতে ভাঙচুর–পুলিশকে তাড়া, অগ্নিগর্ভ বাঁশদ্রোণী
সাগরদত্ত হাসপাতালের ঘটনাকে সামনে রেখে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে গত মঙ্গলবার থেকে রাজ্যজুড়ে নতুন করে কর্মবিরতিতে নেমেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এই দুর্গাপুজোর যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। ভোর দখল, রাত দখলের ডাক তাঁরা দিয়েছেন। তার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘দুর্গাপুজোর দিনগুলিতে সব এলাকায় শান্তিতে পুজো করবেন। মা–বোনেদের বিশেষ করে খেয়াল রাখবেন। আমার পুজো উদ্বোধন শুরু হয়েছে। এটা চলবে।’ সুতরাং উৎসবের পাশাপাশি নারী সুরক্ষার বার্তাও দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এছাড়া রাজ্যের বানভাসি মানুষজনের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠানে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, পুরসভার কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা, ‘অনেক মানুষ এখনও বানভাসি আছেন। যতটা পারবেন সাহায্য করবেন। আমিও করেছি। যাঁরা মানুষের কাজ করেন, তাঁরা নিঃশব্দে কাজ করেন। যাঁরা কাজ করে না তাঁরা বকে বেশি। আমি চাই, কথা কম কাজ বেশি। এটাই আমাদের উদ্দেশ্য।’