নীতীশ কুমারের বিহারের চেয়েও বাংলায় বেশি ছটপুজো হয়। আজ, বৃহস্পতিবার তক্তাঘাটে ছট পুজোর উদ্বোধন করতে এসে এই কথা বললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নীতীশ কুমারের অবশ্য তিনি নেননি। বিহার রাজ্যের নামটি শুধু তিনি করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী যখন এই কথা বলছেন তখন সেখানে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত বক্সি এবং কলকাতার নগরপাল মনোজ কুমার ভার্মা–সহ আরও অনেকেই ছটপুজো উপলক্ষ্যে উপস্থিত ছিলেন। ধর্ম, ভাষা, বর্ণ নির্বিশেষে বাংলা যে বিবিধের মাঝে মিলনস্থল আজ সেটাই বোঝাতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে আগামী ২০২৫ সালে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। তার আগে এমন কথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসায় যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার পক্ষ থেকে ছটের অভিনন্দন জানাচ্ছি। ছট পুজো উপলক্ষ্যে কলকাতার ১২৬টি ঘাট পরিস্কার করেছি। বাংলার পরম্পরা চিরকাল বজায় থাকবে। এখানে বিভাজনের রাজনীতি আমরা বরদাস্ত করব না। আমরা সব ধর্মকে ভালবাসি।’ এই বিভাজনের রাজনীতি করে বিজেপি বলে আগে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের এখন অন্তরাত্মা জেডিইউ। অর্থাৎ নীতীশ কুমারের দল। তাই এমন মন্তব্য বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ছাদ টপকে ঘরে ঢুকে দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ, গ্রেফতার ডাক্তারের বাবা
অন্যদিকে বিহারে এখন নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর দলই কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে জোটে আছে। যার জন্যই কেন্দ্রে এখন এনডিএ সরকার গড়ে উঠেছে। এবার বিহারের প্রসঙ্গ টেনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘আমরা সব ধর্মকে সমান ভালবাসি। তাই তো বিহারের চেয়েও এখন বাংলায় বেশি ছট পুজো হচ্ছে। সকলে ভাল করে ছটপুজোর উৎসব কাটান। কোথাও যেন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি না হয়। সেদিকে খেয়াল রাখবেন।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা শুনে সকলে করতালি দেন। আর পাল্টা আওয়াজ তোলেন, ‘দিদি আপনিও ভাল থাকবেন। ঈশ্বর আপনাকে শক্তি দিক। আমরা সবাই সঙ্গে আছি।’
এছাড়া জনতার থেকে এভাবে সাড়া পেয়ে খুশি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছট পুজো ভাল করে হোক এই প্রার্থনা করেন তিনি। ছট পুজো নিয়ে তিনি যে গান লিখেছেন সেটাও জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আপনারা শুনলে খুশি হবেন এবার ছট পুজো নিয়ে আমি গান লিখেছি, ছোটি মাইয়া। এই গান ঘাটে গান শুনতে পাবেন। ছট পুজোর জন্য গঙ্গাঘাটে তাড়াহুড়ো করবেন না। ছোট ছোট গ্রুপ করে ধীর গতিতে ঘাটে যাবেন। কেউ তাড়া দিলেও তাড়াহুড়ো করবেন না। তাতে পদপিষ্ট হয়ে যেতে পারেন। কোনও দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, সেদিকে নজর রাখতে হবে।’