আজ, বৃহস্পতিবার আবারও নবান্নে বৈঠকে বসে সুর চড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সবার সামনে দিলেন বিস্ফোরক তথ্য। কলকাতা–সহ রাজ্যের বেআইনি পার্কিং নিয়ে আগে বারবার অভিযোগ উঠেছে। সেখানে আজ, বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে কড়া ভাষায় পুলিশ ও স্থানীয় একাংশের মদতে তোলা আদায় নিয়ে ধমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, শহরে সবথেকে বেশি বেআইনি পার্কিং বিজেপির কাছে আছে। তাই যত বেআইনি পার্কিং আছে সব ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে কলকাতা–সহ রাজ্যে হকারদের জবরদখল এবং রাস্তাঘাটের যানজটে পথচারীদের হাঁটার মারাত্মক সমস্যা হয়। তার মধ্যে যদি গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হয় যত্রতত্র তাহলে যানজট তৈরি হবেই। কলকাতার একাধিক রাস্তার ধারে সারি দিয়ে দাঁড় করানো থাকে গাড়ি, মোটরবাইক। এমনকী বেশ কিছু বেসরকারি বাসের স্থায়ী টার্মিনালও কল্লোলিনীর রাজপথ। তাই মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকেই উঠে এল বেআইনি পার্কিংয়ের প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘যত বেআইনি পার্কিং রয়েছে, তার বেশিরভাগই বিজেপির লোকের। আমাদের লোকেরাই টাকা নিয়ে ওদের হাতে তুলে দেয়।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই বিস্ফোরক অভিযোগে এখন রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড়।
আরও পড়ুন: ‘জেলা সভাপতিকে অ্যারেস্ট করিয়ে দিয়েছি’, জমি দখল নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দিলেন কড়া বার্তা
অন্যদিকে একশ্রেণির যুবক ঘণ্টাপিছু বেআইনি পার্কিং থেকে টাকা তোলে বলে অভিযোগ। যার বিনিময়ে কলকাতা পুরসভার কোনও রসিদ দেওয়া হয় না। প্রত্যেকদিন এই রোজগারটি লাখ টাকার বেশি হয় অনেক জায়গায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ নবান্ন সভাঘর থেকে এই প্রশ্নটিও তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘বেআইনি পার্কিং জোন নিয়েও আমার বলার আছে। এরা পুলিশ–নেতাদের টাকা খাইয়ে অনেক জায়গায় ইললিগ্যাল পার্কিং জোন তৈরি করেছে। আমি আলিপুরে একটা আইনি পার্কিং জোন করে দিয়েছি। হাতিবাগান এলাকার দিকে ওরকম একটা পার্কিং জোন করে দিলে সমস্যা মিটবে। ভূগর্ভস্থ পার্কিং ব্যবস্থা ভাল জিনিস। যেখানে যত বেআইনি পার্কিং রয়েছে সেগুলি ভেঙে দিতে হবে। কোনওভাবেই টাকা তোলার জন্য বেআইনি পার্কিং চালানো যাবে না।’
এছাড়া আজ আরও একবার হাওড়ার কথা বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘হাওড়া বাজারের অবস্থাও খারাপ আমি নিজের চোখে দেখে এসেছি। ওই বাজারের প্ল্যান চেয়েছি। কারণ হাওড়াতে তো দেখার কেউ নেই। তাই ওখানে যে যেমন পারছে লুট করছে। বেআইনি পার্কিংগুলি ভেঙে দিতে হবে। কেউ কেউ টাকা খেয়ে বেআইনি পার্কিং দিয়ে দিচ্ছে। সমস্ত বেআইনি পার্কিং ভেঙে দেওয়া হবে। যে সে টাকা খেয়ে ইললিগ্যাল পার্কিং করে দিচ্ছে। এটা জমিদারি নাকি। স্ট্রেট বলে দাও এটা কারও জমিদারি নয়। বেআইনি পার্কিং কারা করেছে, কাদের টাকা দিয়ে করেছে খোঁজ নিতে হবে।’