আজ, বৃহস্পতিবার দেশের প্রথম এনজি ইলেকট্রনিক ফেরি ভেসেলের পথ চলা শুরু হয়ে গেল। কলকাতায় তা আজ শুরু করল যাত্রা। আজ বিকেলে আউট্রাম ঘাট থেকে ফ্ল্যাগ নেড়ে এই অত্যাধুনিক ই–ভেসেলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন গঙ্গাসাগর মেলা চলছে। তাই অনেক পুণ্যার্থী এখানে এসেছেন। যাতায়াতের ক্ষেত্রে এই বিদ্যুৎ চালিত ভেসেল অত্যন্ত উপকারে আসবে মানুষের বলে মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এই ই–ভেসেলের জেরে বায়ুদূষণ বা জলদূষণ হবে না বলেও জানা গিয়েছে।
এমন ই–ভেসেল আরও বাড়ানো হবে জলপথে বলে জানান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতে যাঁরা জলপথে যাতায়াত করে থাকেন এবং ভ্রমণের ক্ষেত্রেও তাঁদের সকলের উপকার হবে। অত্যাধুনিক এই ই–ভেসেল গোটা দেশের মধ্যে প্রথম বাংলায় চালু হল। আর এই বিদ্যুৎ চালিত ভেসেল তৈরি করতে রাজ্যের খরচ হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশ দূষণ কমাতে গেলে এই উদ্যোগের অত্যন্ত প্রয়োজন। পরিবেশকে বাঁচাতে বিশেষভাবে সাহায্য করবে বিদ্যুৎ চালিত এই ভেসেল। তার ফলে যাত্রীরা যেমন আরও বেশি সুরক্ষিত হবেন তেমনই অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করবেন এই ই–ভেসেলে সফর করে।’
আরও পড়ুন: চিকিৎসকদের মন এখন কেমন আছে? মুখ্যমন্ত্রী বৈঠকে অনিকেতদের মনের কথা শুনবেন
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, এই ই–ভেসেল আধুনিক লঞ্চ তৈরি করেছে গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স। যার মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি। সেক্ষেত্রে জল দুর্ঘটনার সম্ভাবনা একেবারে কমে যাবে বলে জানা গিয়েছে। এই অত্যাধুনিক ই–ভেসেলটি এসি এবং নন এসি দুটি ব্যবস্থাই থাকছে। যা যাত্রীদের বাড়তি সাহায্য করবে। এখন শীতকাল নন–এসি পরিষেবা নিতে পারবেন সকলে। আর গরমকাল পড়লে এসি পরিষেবা নিতে পারবেন। এসির মধ্যে ৩০ জন যাত্রী এবং নন এসিতে ৬২ জন যাত্রী নেওয়া যাবে। মিলেনিয়াম পার্ক থেকে বেলুড় মঠ হয়ে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত যাবে এই অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ফেরি ভেসেল।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই মানুষের কৌতূহল বেড়ে গিয়েছে। এই কৌতূহল মেটাতে পরিবহণ দফতরের এক অফিসার বলেন, ‘মোট ১৫০ জন যাত্রীকে বহন করার ক্ষমতা সম্পন্ন একটি লঞ্চ চালাতে ঘণ্টায় ১০ লিটার ডিজেল খরচ হয়। সেখানে ইলেকট্রিক ব্যাটারি চালিত এই ভেসেল মাত্র দু’ঘণ্টায় ৩০ কিমি পথ একটানা চলতে পারবে।’ তাই একদিকে এটা সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধবও। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, আগামী দিনে আরও ১২টি ই–ভেসেল এবং ১২টি বার্জ চালানো হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে। এই ই–ভেসেল চালালে জ্বালানি খরচ বাঁচবে। আবার দূষণ কমবে। হাওড়া ছাড়াও হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা–সহ অন্যান্য জেলার নানা ঘাটে লঞ্চ পরিষেবা আছে। আগামী দিনে বাকি জেলাতেও ই–ভেসেল চালানো হবে।