আজ, বুধবার ধর্মতলায় এসে সভা করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এখানে এসে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারকে উৎখাত করার ডাক দেওয়া থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময় শেষ হয়ে এসেছে বলে সুর চরমে তোলেন শাহ। আর আজই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিলেন বাংলা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কিছুদিন পরই শুরু হবে সংসদে শীতকালীন অধিবেশন। সেখানে প্রস্তাবিত ফৌজদারি এবং দেওয়ানি বিলগুলির সংশোধনী আনার কথা। তবে এই বিষয়ে তাড়াহুড়ো না করতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার এমন ভয়ঙ্কর কিছু বিলে সংশোধনী এনে বিরোধীদের চাপে ফেলবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এমনকী তার জেরে কণ্ঠরোধ করা হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন। এই আইন নিয়ে এলে মানুষের অধিকার খর্ব হবে বলেও আগাম জানান মুখ্যমন্ত্রী। আর এবার চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, এখন লোকসভার মেয়াদ প্রায় শেষ হওয়ার মুখে। এই আবহে অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই বিলগুলির পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়টি নতুন সরকার এবং নতুন লোকসভার উপরেই ছাড়া উচিত। চিঠি লিখে এমন পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও সেটা কতটা শুনবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই।
এদিকে আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে ভারতীয় ফৌজদারি ও দেওয়ানি বিধির নাম বদল করার কথা। সংশোধনী এনে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা এবং ভারতীয় সাক্ষী সংহিতা বিল তিনটি পেশ করতে চলেছেন মোদী সরকার। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে লিখেছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির বা দেওয়ানি বিধির মতো দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা আইনগুলিতে যদি অতি সক্রিয়তার সঙ্গে পরিবর্তন আনা হয় তাহলে দেশের জনজীবনে বড় প্রভাব পড়বে। এই সংক্রান্ত যে কোনও পদক্ষেপ করার আগে বিচারপতি, মানবাধিকার কর্মী, সাধারণ মানুষের মতামত গ্রহণ করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আবার উঠল র্যাগিংয়ের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষকে চিঠি পড়ুয়ার
অন্যদিকে এই পরামর্শ কেন্দ্র আদৌ শুনবে কিনা সেটা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠিতে লেখেন, সবদিক বিবেচনা করে নতুন লোকসভার সদস্য এবং পরবর্তী সরকারের হাতেই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি ছাড়া উচিত। তৃণমূল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত বিলগুলির বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কংগ্রেস। ডিএমকে–সহ ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য দলগুলিও আপত্তির কথা জানিয়েছে। তাই বিরোধী দলগুলির আপত্তি উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় সরকার শেষ বিলগুলি পাশ করার চেষ্টা করলে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা সর্বশক্তি দিয়ে তার বিরোধিতা করবেন।