নিজের বাড়িতেই জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বিকেলের দিকে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের ইমেলের জবাব দিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত জানিয়েছেন যে ‘খোলা মনে’ বৈঠকের জন্য আজ সন্ধ্যা ৬ টায় কালীঘাটের বাড়িতে জুনিয়র ডাক্তারদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। সেই বৈঠকে জুনিয়র ডাক্তারদের ১৫ জনের প্রতিনিধিকে ডাকা হয়েছে। যদিও জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি করে আসছেন যে কমপক্ষে ৩০ জন প্রতিনিধিকে নিয়ে বৈঠক করতে হবে রাজ্য সরকারকে। সেই পরিস্থিতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা আদৌও বৈঠকে যাবেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। আপাতত তাঁরা সেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি। সেইসঙ্গে বৈঠকের লাইভস্ট্রিমিং হবে কিনা, তা নিয়েও মুখ্যসচিব স্পষ্টভাবে কিছু জানাননি।
মমতার দৌত্য
শনিবার দুপুরে রীতিমতো চমকে দিয়ে স্বাস্থ্যভবনের কাছে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান মঞ্চে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। আবেগ দিয়ে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে টানার চেষ্টা করেন তিনি। তারপর জুনিয়র ডাক্তারদের জেনারেল বডির বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পরেই মুখ্যমন্ত্রীকে ইমেল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁদের পালটা ইমেল করেন মুখ্যসচিব।
ধরনা মঞ্চে মমতা কী কী বলেন?
মুখ্যমন্ত্রী: আমি আপনাদের কাছে যেটা বলতে এসেছি, কাল সারারাত ঝড়-জল হয়েছে। আপনারা যখন কষ্ট পেয়েছেন, আমিও সারারাত ঘুমাতে পারিনি। আমারও কষ্ট হয়েছে। আমারও কষ্ট হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী: এই ঝড়-জলের মধ্যে আপনারা যেভাবে বসে আছেন, আমার মানসিকভাবে কষ্ট হচ্ছে। আমিও কিন্তু রাতের পর রাত ঘুমাইনি। কারণ আপনারা যখন রাস্তায় থাকেন, আপনাদের জন্য আমায়ও কিন্তু পাহারাদার হিসেবে জেগে থাকতে হয়।
মুখ্যমন্ত্রী: আপনারা আমাদের ঘরেরই ভাই-বোন। আপনারা দয়া করে কাজে যোগদান করুন। আমি বলতে পারি, আপনাদের প্রতি আমি কোনও অবিচার করব না।' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা আমার ভাই-বোন। আপনাদের প্রতি আমরা সহানুভূতিশীল। আমরা কোনও অ্যাকশন নেব না। কোনও ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব না।
মুখ্যমন্ত্রী: সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। ১৭ তারিখ মামলার ডেট আছে। আমরা চাই না, আপনাদের কোনও ক্ষতি হোক। আপনাদের দিদি হিসেবে আপনাদের কাছে অনুরোধ করতে এসেছি। আমি মুখ্যমন্ত্রী নই। আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বলতে আসিনি। আমি আপনাদের দিদি হিসেবে বলতে এসেছি। হ্যাঁ, আমি চিফ মিনিস্টার আছি। আমি একটা দলেরও লোক। আমি আপনাদের আন্দোলনের সমব্যথী এবং সমসাথী।