আজ, বুধবার বিধানসভার অধিবেশনে সুর চড়াতে যান বিজেপি বিধায়করা। কিন্তু ধর্ম থেকে শুরু করে রাজনৈতিক পদক্ষেপ নিয়ে শঙ্কর ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীদের ধুয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারী জীবনের শুরুতে কংগ্রেস করতেন। পরে আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি দল তৃণমূল কংগ্রেসে। সেখানে সাংসদ থেকে শুরু করে বিধায়ক ও মন্ত্রী হয়েছিলেন। তারপর তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। সেক্ষেত্রে তিনটি দলে বিচরণ করলেন এখনকার বিরোধী দলনেতা। এবার সেটাই সকলের সামনে তুলে ধরে পরবর্তী ক্ষেত্র নিয়ে আগাম জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আজ বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীকে ধিক্কার জানানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা। কারণ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বিধানসভায় বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী–সহ চারজন বিজেপি বিধায়ককে একমাসের জন্য সাসপেন্ড করেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগও আনা হয়েছিল। তখনই এই পরিকল্পনা করা হয়। সেই মতো আজ বুধবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী ঢোকার সময় থেকে কালো জামা পরে বিক্ষোভ দেখান শুভেন্দু–সহ বিজেপি বিধায়করা। আর তারই জবাব মুখ্যমন্ত্রী দিলেন বিধানসভার ভিতর থেকে।
আরও পড়ুন: ‘আমি বিধানসভার চেয়ার ভাঙিনি, প্রমাণ দিলে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেড়ে দেব’, ধুয়ে দিলেন মমতা
বিধানসভার ভিতর থেকে মুখ্যমন্ত্রী জবাব দিলেও কারও নাম উল্লেখ করেননি। শুধু পোশাকের রং উল্লেখ করে বিঁধেছেন। মুখ্যমন্ত্রী এদিন শুভেন্দু–সহ বিজেপি বিধায়ক যাঁরা কালো জামা পরে বিক্ষোভ দেখান তাঁদের উদ্দেশে বলেন, ‘একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায় সম্পর্কে যে কথা বলা হচ্ছে সেটা কোনওমতেই কাম্য নয়। সেটাকে ধিক্কার জানাই। যাঁরা কালো জামা পরেছেন ভাল, আমি কালো রং পছন্দ করি! কিন্তু কালো জামা কাপড় পরে লাভ নেই, আপনারা অন্ধকারে থাকুন। যিনি এই কথা বলেছেন তাঁকে একদিন পস্তাতে হবে। তিনি তিনবার দল বদলেছেন।’
এই কথা বলেই থেমে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর রণংদেহী মেজাজের কাছে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে যায় বিজেপি বিধায়করা। বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে বিশৃঙ্খলা করার অভিযোগ তুলে আজ সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘তিনবার দল বদলেছেন। আগে কংগ্রেস করতেন, তারপর তৃণমূলে এসেছিলেন দলটাকে ঘেঁটে দেওয়ার জন্য। তারপর এখন বিজেপিতে গিয়েছেন। আগামী দিনে দেখবেন আবার কোনও দলে যাওয়ার জন্য রিকোয়েস্ট আসবে। ওই জামাটা আবার যেন না লাল জামায় পরিণত হয়।’