মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুরে কদিন আগেই একটি বিপজ্জনক বাড়ি ভেঙে পড়েছিল। ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ১২ নম্বর মদন পাল লেনে ওই বাড়ি অবস্থিত। ওই বাড়িটি পুরনো বিপজ্জনক বাড়ি। তার পরিত্যক্ত অংশ ভেঙে পড়েছিল। যদিও ওই বাড়ির অন্য অংশে একাধিক পরিবার বসবাস করেন। এই পরিস্থিতির কথা শুনেই নবান্ন থেকে বাড়ি ফেরার সময় সোমবার সন্ধ্যায় ওই বাড়ি পরিদর্শন করতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে তিনি সবটা দেখে মেরামতি করার নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজে এসে এখানে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে মেরামত করার নির্দেশ দেওয়া খুশি বসবাসকারীরা।
যে বাড়িটি ভেঙে পড়েছে ওই বাড়ি মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির ওয়ার্ডের মধ্যেই পড়ে। তাই সোজা মুখ্যমন্ত্রী নিজের সঙ্গে তাঁর ভ্রাতৃবধূ তথা স্থানীয় ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে সেখানে হাজির হন। তারপর ওই বাসিন্দাদের সঙ্গে ভেঙে পড়ার ঘটনা নিয়ে সবটা জেনে নেন। আর আশ্বাস দেন, চিন্তা করার প্রয়োজন নেই। তিনি এই ভাঙা অংশ দ্রুত মেরামত করার ব্যবস্থা করবেন। আর সেখানে আবার মানুষ বসবাস করতে পারবেন। বিপদে এভাবে বাড়ির বাসিন্দাদের পাশে এসে দাঁড়ানোয় অত্যন্ত খুশি তাঁরা। এমনটা যে ঘটবে তা তাঁরা ভাবতেও পারেননি।
আরও পড়ুন: ‘কটেজ অন হুইলস’ গড়ে তুলতে উদ্যোগী হলদিয়া পুরসভা, ইকো ট্যুরিজিমের প্রসারে জোর
আজ, মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘা সফরে যাচ্ছেন। সেখানে জগন্নাথ মন্দির গড়ে উঠছে। সেখানে কতটা কাজ হয়েছে তা দেখে উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। আর বেশ কিছু কর্মসূচিও আছে। সেক্ষেত্রে তিনদিন সেখানে থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের ওই ভেঙে পড়া বাড়িটির কাজ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে করাতে পারবেন না। এই কারণে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। যাতে তিনি নিজে উদ্যোগ নিয়ে ওই বিপদে পড়া মানুষের পাশে থাকতে পারেন।
ভবানীপুরের ওই বাড়িতে মোট ১৩টি পরিবার বসবাস করেন। তাঁরা এই ভেঙে পড়ার ঘটনায় আতঙ্কিত। তবে ওই বাড়িটি পরিদর্শনের পর গোটা বাড়িটি যাতে নতুন করে গড়ে তুলে বসবাসযোগ্য করা যায় সেটা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে দেখতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর নেত্রীর নির্দেশ পেয়েই আজ, মঙ্গলবার ওই বাড়িতে যাওয়ার কথা রয়েছে মেয়রের। সেখানে গিয়ে তিনি বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আর কলকাতা পুরসভার অফিসারদের যাতে বাড়িটি সংস্কার করে বাসিন্দাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় তার নির্দেশ দেবেন বলে সূত্রের খবর।