আর ২৪ দিন বাকি ডিসেম্বর মাস শেষ হতে। তারপরই ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাস। আর তখনই ‘বিশেষ অধিবেশন’ করা হবে। এবার তার প্রস্তুতি শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই ২০২৬ সালে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারই আবার বাংলার কুর্সি দখল করবে তা এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে নিজে মুখেই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই ‘বিশেষ অধিবেশন’ থেকেই বড় ধরনের জনসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারেন তিনি। এখন বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন চলছে। তার মধ্যেই আগামী ১০ ডিসেম্বর দিঘা সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেখান থেকে ফিরে এসে এই ‘বিশেষ অধিবেশন’ নিয়ে খোঁজখবর করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংগঠনিক রদবদলও হতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। দলীয় সূত্রে খবর, জানুয়ারি মাসে এই ‘বিশেষ অধিবেশন’ করার কথা ভাবা হয়েছে। ওই অধিবেশনে কারা থাকবেন সেটা ঠিক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে দলের অভিমুখ ঠিক করতেই এই ‘বিশেষ অধিবেশন’কেই বেছে নেওয়া হচ্ছে। এখানে সাংসদ, মন্ত্রী–বিধায়ক, পঞ্চায়েত এবং পুরসভার প্রতিনিধিদের উপস্থিতি থাকার কথা। ২০২৫ সাল ধরে কী কাজ করতে হবে তা বাতলে দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
আরও পড়ুন: এবার চালু হতে চলেছে কালীঘাট স্কাইওয়াক, হকারদের সরিয়ে পুনর্বাসন কলকাতা পুরসভার
ইতিমধ্যেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি মিলে একটি তালিকা করা হয়। সেই তালিকা পৌঁছে দেওয়া হয় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। রদবদল নিয়ে তৈরি হওয়া তালিকা কাটাছেঁড়া করে চূড়ান্ত অনুমোদন করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি এই রদবদলের নতুন তালিকা প্রকাশ করতে পারে ‘তৃণমূল ভবন’। লোকসভা নির্বাচনের পরে অভিষেক এই রদবদলের কথা ঘোষণা করেন। আর তা নিয়ে সুপারিশ তৃণমূলনেত্রীর কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। এবার যে ঘোষণা হবে বলে জানা যাচ্ছে, সেটা অনেকেরই পছন্দ নাও হতে পারে। তবে দলের জন্য এটা প্রয়োজন।
এখন তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে দুটি ভাগ তৈরি হয়েছে। একটি ভাগে আছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নবীন প্রজন্মের বেশিরভাগ নেতা–নেত্রী আছেন। আর একটি ভাগে রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে প্রবীণ নেতারা বেশি রয়েছেন। তবে নবীনও আছেন কম হলেও। যদিও গতকাল সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমার উত্তরসূরি ঠিক করবে দলের লোকজন। আমি আমিত্বে বিশ্বাস করি না। সকলকে নিয়ে চলাতে বিশ্বাস করি। আমরায় বিশ্বাস করি। তৃণমূল কংগ্রেস শৃঙ্খলাবদ্ধ দল। সেখানে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। তাই শৃঙ্খলে বাঁধতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমি বাংলায় জন্মেছি। বাংলায় মরতে চাই। অন্য কোথাও যেতে চাই না।’