আজ, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। কোজাগরীর এই পুণ্যতিথিতে সকল রাজ্যবাসীর জন্য শুভকামনা জানিয়ে টুইট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পূর্ণিমার শুভক্ষণে আজ বাঙালির লক্ষ্মীবন্দনা। চালের গুঁড়োয় ঘরে ঘরে চলছে আল্পনা। ধান দুর্বায় সৌভাগ্য কামনা করা হচ্ছে। ধনদেবীর আরাধনায় আবার পার্বণ শুরু হয়েছে বাংলায়। এক্স হ্যান্ডেলে শুভকামনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। তবে এখানেই শেষ নয়। আজ লক্ষ্মীপুজো উপলক্ষ্যে একটি কবিতাও লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যার ছত্রে ছত্রে আছে বাংলার মা–বোনেদের কথা। আর সেই কবিতা এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং শুরু হয়েছে চর্চা।
নিজের পায়ের সমস্যা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল ভার্চুয়ালি। দুর্গাপুজোর সময় ভার্চুয়ালি করেন একের পর এক উদ্বোধন। আর তাঁকে দীর্ঘ সময় বিশ্রামে কাটাতে হয়েছে। তবে দুর্গাপুজোর কার্নিভালে নিজে হেঁটেই মঞ্চে ওঠেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লক্ষ্মীপুজোতে তিনি কালীঘাটের বাড়িতে আছেন। আর বাড়িতে থেকে মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীপুজোয় লিখলেন একটি দীর্ঘ কবিতা—‘আমার লক্ষ্মী’। বাংলার মা ও বোনের শক্তিকে সেখানে কুর্নিশ জানানো হয়েছে। আর কবিতার প্রত্যেক পঙতিতে বাংলার নারীদের নানা ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
এদিকে ‘আমার লক্ষ্মী’ কবিতায় গ্রামের নারীদের কথা উঠে এসেছে। মোট ২৪ লাইনের কবিতায় গ্রামবাংলার মেয়েদের কৃতিত্ব, সাফল্য সবকিছুই তুলে ধরা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতার শুরুতেই লিখেছেন—‘আমার লক্ষ্মী আজকের দিনে সবারে করে আহ্বান/ আমার লক্ষ্মী ক্লান্তি ভুলে গায় জীবনের জয়গান।’ অর্থাৎ বাংলার মেয়েরা যে ক্রমাগত সাফল্যের শিখরে উঠে আসচেন সে কথা তিনি কবিতায় বোঝাতে চেয়েছেন। একদিকে সংসারও সামলাচ্ছেন তাঁরা অপরদিকে বাইরে বেরিয়ে কাজও করে সাফল্য অর্জন করছেন। তাই তাঁদেরকে আমার লক্ষ্মী বলে সম্বোধন করেছেন কবিতায়। যা বাংলার মা–বোনেদের কাছে গর্বের।
আরও পড়ুন: তরুণীর উপর যুবকের অ্যাসিড হামলা, বারুইপুরের বাড়িতে ঢুকে আক্রমণে তদন্তে পুলিশ
অন্যদিকে আগেও বহু কবিতা লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক বই রয়েছে তাঁর। আবার কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তকমেলায় তাঁর বই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। নিজে আঁকতেও জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিলাদের জন্য একাধিক সামাজিক প্রকল্প নিয়ে এসে আজ তিনি জনপ্রিয় নেত্রী। সাহিত্য চর্চা মুখ্যমন্ত্রীর দৈনন্দিন জীবনেরই অঙ্গ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘কবিতাবিতান’ নামে একটি বইও আছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। সমস্ত পরিস্থিতিতেই বারবার কলম তুলে নিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবারও পরিস্থিতি তেমনই গম্ভীর। সেখানে দাঁড়িয়ে ‘আমার লক্ষ্মী’ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে।