সম্পতি বাংলায় বড়সড়ো পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্র সামনে এসেছে। অভিযোগ উঠেছে ভুয়ো আধার বানিয়ে একের পর এক জাল পাসপোর্ট তৈরি হয়েছে। আর পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। সেবিষয়টি সামনে আসতেই আদালতের ক্ষোভের মুখে পড়েছে পুলিশ। এই অবস্থায় পাসপোর্ট জালিয়াতি রুখতে বিশেষ পদক্ষেপ করতে চলেছে সরকার। এর জন্য রাজ্য সরকার একটি অ্যাপ আনার পরিকল্পনা করেছে। সেক্ষেত্রে পুরোপুরি সঠিকভাবে যাতে ভেরিফিকেশন হয় তার উপরে জোর দেওয়া হবে এই অ্যাপে।
আরও পড়ুন: ‘তদন্ত কিছুই এগোয়নি’, জাল পাসপোর্ট মামলায় পুলিশের ভূমিকায় ক্ষোভ বিচারকের
জানা গিয়েছে, এই অ্যাপের মাধ্যমে যাবতীয় নথি অনলাইনে ভেরিফিকেশন করা হবে। সেটি হওয়ার পর একজন পুলিশ কর্মী আবেদনকারীর বাড়িতে যাবেন এবং সেখানে যাওয়ার পর পুলিশ আবেদনকারীর পাশাপাশি নিজের ছবি তুলবেন। এতে সহজেই বোঝা যাবে সংশ্লিষ্ট আবেদীনকারীর পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে কোন পুলিশকর্মী যুক্ত রয়েছেন। ফলে খুব সহজেই অনিয়ম এড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।
এর পাশাপাশি পাসপোর্টের আবেদনের ক্ষেত্রে জাল আধার কার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। তার জন্য ইতিমধ্যেই আধার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। তারা সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর আধার খতিয়ে দেখবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে আধার স্ক্যান করা হবে। তাতে সহজেই বোঝা যাবে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর আধার আসল নাকি জাল। আধিকারিকদের আশা, এই অ্যাপ চালু হলে প্রতারকরা আর কোনওভাবেই ভুয়ো নথি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি রোখা সম্ভব হবে। এই অ্যাপে কোনওভাবেই জাল নথি দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।
প্রসঙ্গত, তথ্য ভেরিফিকেশন নিয়ে বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন আলিপুর আদালতের বিচারক। তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যারা ভেরিফিকেশন করেছিল তাদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন তানিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা তারপরেই লালবাজারে বলেন, পাসপোর্ট ভিরিফিকেশনের ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় গাফিলতি রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে সেই সমস্ত ত্রুটি শুধরে নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। ফলে ভেরিফিকেশনের ক্ষেত্রে কী গাইডলাইন তা নিয়ে বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। একইসঙ্গে যেন কোনও ভুলভ্রান্তি না হয় তা নিয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে জাল পাসপোর্ট রুখতে সক্রিয় রাজ্য সরকার।