আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে টানা ৪২ ধরে কর্মবিরতির পর কাজে ফিরেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে কয়েকদিন আগেই কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসকের মারধরের ঘটনায় ফের নিরপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এরই প্রতিবাদে পুনরায় কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এরফলে সমস্যায় পড়েছেন রোগীরা। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার এবার আইনি পরামর্শ নিতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে এবার আন্দোলনরত জুনিয়রদের বিরুদ্ধে এবার রাজ্য কঠোর পদক্ষেপ করতে চাইছে বলেই মনে করেছে বিশেষজ্ঞ মহল।
আরও পড়ুন: ‘৩০% জুনিয়র ডাক্তার কোটি টাকা দিয়েই পড়েছে’, প্রমাণ-সহ ফের খোঁচা অনিকেতের
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বহু জুনিয়র ডাক্তার কাজে যোগ দেননি। ইতিমধ্যেই সরকার ডাক্তারদের অভিযোগ শোনার জন্য একটি সাত সদস্যের অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি গঠন করেছে। এছাড়াও ২৮টি সরকারি হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতিগুলিকে ভেঙে দিয়েছে এবং মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষদের নেতৃত্বে এবং জুনিয়র ডাক্তার এবং নার্স সহ সাত সদস্যের কমিটি দিয়ে পরিবর্তন করা হয়েছে। তারপরও ফের কর্মবিরতি শুরু করায় আইনি পদক্ষেপের হাঁটতে চাইছে রাজ্য।
এনিয়ে আইনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করেছে। এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য সরকারের এক কৌঁসুলি বলেন, আশ্বাস এবং কাজে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও জুনিয়র ডাক্তাররা অযৌক্তিকভাবে ওপিডি এবং আইপিডি পরিষেবাগুলি বয়কট করেছেন। এতে তাঁরা শুধুমাত্র সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করছেন না বরং সাধারণ মানুষকে অনেক সমস্যার মধ্যে ফেলেছেন। রাজ্য চাইলে এবিষয়ে আইনি পদক্ষেপে কোনও বাধা নেই।
সরকারের এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক বলেছেন, এতদিন ধরে জুনিয়রদের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করেনি রাজ্য। প্রথম দিন থেকেই সরকারের উদ্দেশ্য ছিল স্বাস্থ্য পরিষেবার কর্মীদের মধ্যে আস্থা তৈরি করা যাতে রোগীরা কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হয়। তিনি ইঙ্গিত দেন, এবার রাজ্য আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের এহেন আচরণে ধৈর্য হারাচ্ছে।
ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট (ডব্লিউবিজেডিএফ) দাবি জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালগুলোতে অবিলম্বে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাতে হবে, পুলিশ নিয়োগ করতে হবে বা রোগীদের পরিষেবা বাড়ানোর মতো ব্যবস্থা করতে হবে, যেমন একটি কেন্দ্রীভূত রেফারেল সিস্টেম এবং বিছানা-খালি পর্যবেক্ষণ প্রভৃতি। তবে সরকার এই আশ্বাস দিলেও এই ধরনের কাজে কোনও অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। ফলে চিকিৎসকদের পাশাপাশি হাসপাতালে রোগীদের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে।