হাসপাতালগুলিতে রয়েছে ন্যায্যমূল্যের ওষুধের দোকান। এছাড়াও ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির জন্য রয়েছে ‘সুফল বাংলা স্টল’। সফলভাবেই চলছে এই সব প্রকল্প। ঠিক সেই ধাঁচেই ন্যায্যমূল্যে টাটকা মাছ বিক্রি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের মৎস্য দফতর সুলভে নাগরিকদের পাতে মাছ তুলে দিতে সুফল বাংলা মৎস্য বিপণি খুলতে চলেছে। এর জন্য আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সোমবার বিধানসভায় একথা জানিয়েছেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী বিপ্লবরায় চৌধুরী।
আরও পড়ুন: নয়-ছয় চলছে সুফল বাংলাতেও, এবার স্টলে বসবে সিসি ক্যামেরা
মন্ত্রী জানিয়েছেন, সব মিলিয়ে রাজ্যে ১০০ বিপণি খোলা হবে। প্রথম ধাপে ৩৫টি বিপণি খোলা হবে। আর এর মধ্যে কলকাতায় থাকছে ১২টি স্টল। যার মধ্যে দক্ষিণ কলকাতায় পাঁচটি, উত্তর কলকাতায় তিনটি স্টল খোলা হবে। এছাড়া, বিধাননগরে একটি ও নিউটাউনে তিনটি স্টল খোলা হবে। মূলত স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং মৎস্য সমবায়গুলিকে এই বিপণি চালানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে। সেগুলি সফল হলে আগামী দিনে স্টলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।মন্ত্রী জানিয়েছেন, সবজি বিক্রির জন্য সুফল বাংলার যে স্টল রয়েছে তার গায়েই এই স্টল খোলা হবে। এছাড়া, এই বিপণিগুলিতে টাটকা মাছ আনা হবে মৎস্য দফতরের আওতায় নিজস্ব যেসব জলাশয় থেকে। সেই জলাশয়ে চাষ করা মাছ এনে বিক্রি করা হবে। যদিও মাছের দাম কত রাখা হবে? সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এরফলে আমজনতার সুবিধা হবে বলেই মনে করছে দফতর। সেখান থেকে বাজারদরের তুলনায় অল্প দামেই মাছ কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
ন্যায্যমূল্যে মাছ বিক্রি করার পরিকল্পনা আগেই ছিল মৎস্য দফতরের। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভা এই প্রকল্পে ছাড়পত্র দিয়েছে। উল্লেখ্য, কোনও উৎসব আসলেই মাছের দাম হু হু করে বেড়ে যায়। খোলা বাজারে মাছের দামে নিয়ন্ত্রণ না থাকায় তা নিয়ে মানুষের দীর্ঘদিনের ক্ষোভ রয়েছে। এক্ষেত্রে আধিকারিকদের মতে, মাছের একটা বড় অংশ আসে ভিন রাজ্য থেকে। সেই কারণে দামে নিয়ন্ত্রণ থাকে না। এই প্রকল্প চালু হলে সেই সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছে মৎস্য দফতর।
এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গ চলতি বছরে মাছ উৎপাদনে প্রথম স্থানে চলে আসবে বলে মনে করছেন মন্ত্রী। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জেলায় ,‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প গ্রহণ করার পর মাছ চাষ বেড়েছে। অনেক যে জায়গায় সমবায় করে মৎস্যজীবীরা মাছ চাষ করছেন। সেই মাছ এখানে বিক্রি করা যাবে।