ভিনরাজ্যে আটকে থাকা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের জন্য আরও ১০৫ টি বিশেষ ট্রেনের বন্দোবস্ত করল রাজ্য। আগামী ১৬ মে থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেই ট্রেনগুলি ছাড়বে। তবে এই সিদ্ধান্তের কথা শুনে তেমন প্রীত নন রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল। তাঁর কথা, বাংলার তো দিনে ১০৫টি করে ট্রেন চালানো উচিত!
কয়েকদিন আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন যেখানে তিনি অভিযোগ করেন যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন রাজ্যে আসতে দিচ্ছে না পশ্চিমবঙ্গ। সেই নিয়ে প্রচুর বাক-বিতণ্ডা হয়। কিন্তু এখনও যে রাজ্যের কাজে কেন্দ্র অখুশি, এদিন তা সাফ করে দিলেন পীযূষ গোয়েল। তিনি বলেন যে বাংলার শ্রমিকদের সঙ্গে এটি করুণ উপহাস। এখনও পর্যন্ত মাত্র সাতটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন আসতে অনুমতি দিয়েছে বাংলা, বলে জানান গোয়েল। একই ধারে উত্তরপ্রদেশ এরকম ৪০০টি ট্রেন আসতে দিয়েছে রাজ্যে। প্রসঙ্গত পয়লা মে থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালাচ্ছে কেন্দ্র পরিযায়ীদের ঘরে ফেরানোর জন্য।
টুইটারে গোয়েল বলেন বারবার তিনি আর্জি জানিয়েছেন যে আরও ট্রেন আসতে দিন। কিন্তু শুনছে না রাজ্য সরকার। তিনি বলেন যে অবশেষ ঘুম ভেঙেছে রাজ্যের কিন্তু এক মাসে ১০৫টি ট্রেন চলতে দেওয়া যথেষ্ট নয়। দিনে ১০৫টি ট্রেন চালানো উচিত।
যেসব রাজ্যে পরিযায়ীরা ফিরবেন, তার মধ্যে অন্যতম হল বাংলা। কিন্তু মাত্র সাতটি ট্রেন এসেছে রাজ্যে। উত্তরপ্রদেশে এসেছে ৩৮৬টি ট্রেন, বিহার ও মধ্যপ্রদেশে যথাক্রমে ২০৪ ও ৬৭টি ট্রেন।
রেলমন্ত্রী বলেন গত সপ্তাহে যে আটটি ট্রেনকে অনুমতি দেওয়ার কথা বলেছিল বাংলা, সেগুলিকেই এখনও ছাড় দেওয়া হয়নি। মমতা সরকার গরীব শ্রমিকদের দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে, বলে অভিযোগ করেন তিনি।
যেসব মানুষ লকডাউনের জন্য আটকে গিয়েছেন, তাদের স্বার্থের কথা ভেবে দেখতে মমতা সরকারের কাছে আর্জি জানান রেলমন্ত্রী।
লকডাউনের জেরে রেল-রাজ্য চাপানউতোরের মধ্যেই দিনকয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে জানিয়েছিলেন, আরও ট্রেনের বন্দোবস্ত করা হবে। সেইমতো বৃহস্পতিবার টুইটারে মমতা জানান, আগামী এক মাসে রাজ্যে ১০৫ টি বিশেষ ট্রেন আসবে। তিনি বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়া আমাদের সমস্ত মানুষ এবং যাঁরা বাংলায় ফিরতে চান, তাঁদের সহায়তা করার প্রতিশ্রুতির অঙ্গ হিসেবে আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমরা বাড়তি ১০৫ টি ট্রেনের বন্দোবস্ত করতে পেরেছি।