পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করে ফের একবার রাজ্য সরকারের তুমুল সমালোচনা করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এজন্য বৃহস্পতিবার সকালে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন রাজ্যপাল। সেখান থেকেই একের পর এক তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে।
করোনা পরিস্থিতিতে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পঠনপাঠন নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ভার্চুয়াল বৈঠকে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু কোনও উপাচার্য সেই বৈঠকে যোগ দেননি। এতেই অগ্নিশর্মা হয়ে ওঠেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে রাজ্য সরকার ও শিক্ষা দফতরের মুন্ডুপাত করেন।
রাজ্যপাল এদিন বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে তিনি বারবার যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তা নিয়ে কোনও হেলদোল নেই রাজ্য সরকারের। তাঁর লেখা চিঠির ৬ মাস পরেও জবাব দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এভাবে শিক্ষাব্যবস্থাকে রাজ্য সরকার অবহেলা করছে বলে দাবি করেন তিনি। বলেন, ‘শিক্ষার প্রতি এই অবহেলা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে পঙ্গু করে দেয়।’ এদিন ফের রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা ‘রাজনৈতিক খাঁচাবন্দি’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজ্যপালের দাবি, গত ২ বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের শোষণ চলছে। কী ভাবে পড়ুয়াদের পঠনপাঠন চলবে তা নিয়ে কোনও পরিকল্পনা নেই রাজ্য সরকারের।
রাজ্যপাল বলেন, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষার মান যে ক্রমশ পড়ছে তা মেনে নিয়েছেন উপাচার্যরাই।
ওদিকে এদিন রাজ্যপালকে এক চিঠি দিয়েছেন উচ্চশিক্ষা দফতরের বিশেষ সচিব। তাতে রাজ্যপাল এক্তিয়ার বহির্ভূত মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।