বুধবারই রাজ্যের একধিক সচিবকে বদলি করা হয়েছিল। সেই ধারা বজায় থাকল বৃহস্পতিতেও। ফের একবার একাধিক দফতরের সচিবদের বদলি করা হল এবার। রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিব খলিল আহমেদকে বদলি রা হয়েছে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরে। আর খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের সচিব সুব্রত গুপ্তকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের সচিব রশ্মি কমলকে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরের অতিরিক্ত সচিব হৃদেশ মোহনকে বদলি করা হয়েছে জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার দফতরে। এদিকে জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার দফতরের সচিব স্মরিকা মহাপাত্রকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দফতরে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে আবাসন দফতরের প্রধান সচিব রাজেশকুমার সিনহাকে ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি কলকাতা মিউনিসিপ্যাল অথরিটির সিইওর দায়িত্বও তাঁরই কাঁধে রয়েছে। এছাড়া নেতাজি সুভাষ প্রশাসনিক ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত গোদালা কিরণ কুমারকে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে বিশেষ সচিব করা হয়েছে।
এর আগে বুধবারের রদবদলে স্কুল শিক্ষা দফতর ও উচ্চশিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিনোদ কুমারকে। তিনি এতদিন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি (আরবান)-এর দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। এছাড়া ওয়েস্ট বেঙ্গল ডিস্ট্রিক্ট গেজেটিয়ারের স্টেট এডিটরে দায়িত্বও থাকছে তাঁর উপর। আর স্টেট গেজেটিয়ার্সের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারির দায়িত্বে থাকছেন আইএএস সৌম্য পুরকায়েত। এদিকে মণীষ জৈনকে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির দায়িত্বে বদলি করা হয়। জিটিএ সচিবের পদে আনা হয় বিজয় ভারতীকে। আইএএস মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি আরবান ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মিউনিসিপ্যাল অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পিবি সেলিম মুখ্য়মন্ত্রীর অফিসের মনিটরিং ও কোর অর্ডিনেশনের দায়িত্ব পান। এদিকে সংখ্য়ালঘু ও মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্বও থাকছে তাঁর উপর।
এছাড়া টেকনিকাল এডুকেশন ট্রেনিং অ্যান্ড স্কিল ডেভেলপমেন্টের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারির দায়িত্ব দেওয়া হয় আইএএস শ্রীমতি যয়শী দাশগুপ্তকে। পিই ও আইআর বিভাগের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারির দায়িত্বে আনা হয় আইএএস শিলাদিত্য বসু রায়কে। উচ্চশিক্ষা দফতরের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারির দায়িত্ব পান আইএএস অমিত রায় চৌধুরী। উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের পর থেকেই একাধিক বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের কাজে নিজের অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই রদবদল ‘রুটিন’ কি না, তা স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি।