জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনের জন্য ৪ কোটি ৭৫ হাজার টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা থাকার কথা সংবাদমাধ্যমে ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে। আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদাররা থ্রেট কালচারের অভিযোগ তুলেছিলেন। এবার তাঁদের বিরুদ্ধেই ‘টেরর কালচার’ চালানোর বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। তাঁরাই এই ৪ কোটি ৭৫ হাজার টাকা নানা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন।
আজ, শনিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করে আর একটি জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ এমন বিস্ফোরক অভিযোগ তোলায় সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য–রাজনীতি। বিচারের দাবি তুলে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের বিরুদ্ধে পাল্টা সংগঠন গড়ে তুললেন জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। সেই সংগঠনের নাম ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন। এই সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রীশ চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘নির্যাতিতার বিচারের নামে ৪.৭৫ কোটি টাকা তুলেছেন অনিকেতরা। আমাদের বিরুদ্ধে যে অন্যায় ঘটে চলেছে, সেই অন্যায়ের জন্য যে মানসিক এবং শারীরিক ক্ষতি হয়েছে সেটার একটি প্রমাণ বাংলার মানুষের সামনে তুলে ধরতে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি।’
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য দফতরের একাধিক পদে বড় নিয়োগের সিদ্ধান্ত নবান্নের, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সবুজ সংকেত
আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের নানা সংগঠনের নামে খোলা অ্যাকাউন্টে টাকা এসে জমা পড়েছে। আরজি কর হাসপাতালের হস্টেলের ঘরের নম্বরে স্বেচ্ছাসেবি সংস্থা খুলে এই টাকা নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এমনকী জুনিয়র ডাক্তার রিয়া বেরার অ্যাকাউন্টেও কয়েক লক্ষ টাকা জমা পড়েছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিচারের নামে রাজ্যের সরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অরাজকতা তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান তাঁরা। সাংবাদিক বৈঠকে আজ জুনিয়র ডাক্তার শ্রীশ বলেন, ‘আমরাই প্রথম নির্যাতিতা দিদির বিচার চেয়ে আন্দোলন শুরু করেছিলাম। আমরা বলেছিলাম, কর্মবিরতি মানব না। রোগী পরিষেবা অক্ষুন্ন রেখে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। তখনই আমাদের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারের অভিযোগ আনা হয়।’
এছাড়া ৯টি অ্যাকাউন্টে ৪ কোটি ৭৫ হাজার টাকার প্রসঙ্গ তুলেছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। শ্রীশের অভিযোগ, ‘আমাদের সবার বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ তুলে ব্যান করে দেওয়া হয়। আমরা নাকি থ্রেট কালচার চালাই। এই থ্রেট কালচারের বিনিময়ে আমাদের জুনিয়র ডাক্তার এবং স্টুডেন্টদের ডিউটি থেকে সাসপেন্ড করা হয়। আমাদের কলেজে ঢোকা বারণ হয়ে যায়। অনিকেত মাহাতোরা আমাদের কলেজে ঢুকতে বাধা দেয়। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর সামনে আমাদের নটোরিয়াস ক্রিমিনাল বলা হয়! যারা নির্যাতিতা দিদির বিচারের নামে ৪.৭৫ টাকা তুলেছে। ওরা কি নটোরিয়াস ক্রিমিনাল নয়? অনিকেত, দেবাশিসরা আন্দোলনকে বেলাইন করেছে। রিয়া বেরার বিরুদ্ধেও সেক্সচুয়াল হ্যারাসমেন্টের অভিযোগ রয়েছে।’