কর্মবিরতি তোলার জন্য সুপ্রিম কোর্ট ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিয়েছে। আর তারপর রাজ্য সরকারকে পালটা ‘ডেডলাইন’ দিলেন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা। জেনারেল বডির বৈঠকের পরে সোমবার রাত ১১ টা নাগাদ সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, তাঁরা যে পাঁচ দফা নিয়ে আন্দোলন করছেন, সেই দাবি পূরণ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। যদি মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার (সুপ্রিম কোর্ট সেই ডেডলাইন দিয়েছে) মধ্যে রাজ্য সরকার তাঁদের দাবি মেনে নেয়, তবেই কর্মবিরতি তোলার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখা হবে। অর্থাৎ তাঁরা কাজে ফিরবেন কিনা, সেই বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবেন বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেইসঙ্গে মঙ্গলবার তাঁরা স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাক দিয়েছেন। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের (স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া) ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার বিচার চাওয়ার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা যে দুর্নীতির আখড়া হয়ে উঠেছে, সেটাকে নির্মূল করার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
কাজে ফেরা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ
সোমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির সময় রাজ্য সরকারের তরফে দাবি করা হয় যে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জন্য কমপক্ষে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে শীর্ষ আদালত জানায় যে মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফিরতে হবে। ওই সময়ের মধ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য সরকার।
তারপর যদি রাজ্য সরকার কোনও পদক্ষেপ করে, তাহলে কোনও বাধা দিতে পারবে না বলে জানায় শীর্ষ আদালত। তবে শীর্ষ আদালতের তরফে এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয় যে জুনিয়র ডাক্তারদের সুরক্ষা এবং প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত না করে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য সরকার।
জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি
১) জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাজনিত পদক্ষেপ করা হোক। যথাযথ কারণ দর্শিয়ে অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাসকে সাসপেন্ড করারও দাবি তোলেন তাঁরা।
২) জুনিয়র ডাক্তারদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে ফেরার যে বার্তা দিয়েছেন, সেই বক্তব্যের নিন্দা করা হচ্ছে। তরুণী চিকিৎসকের বিচারহীন শবের উপরে দাঁড়িয়ে উৎসবের ডাক দেওয়া ন্যক্কারজনক এবং নির্লজ্জতার পরিচায়ক।