সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনার প্রভাব পড়েছ এপার বাংলার রাজনীতিতে। এই আবহে বিধানসভায় সংক্ষিপ্ত বিবৃতি দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে রাস্তায় নেমে বাংলাদেশের ইউনুস সরকার এবং এখানের মমতার সরকারকে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরই মাঝে এবার বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন। তাঁর কথায়, 'বাড়াবাড়ি হচ্ছে।' এরই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনাকে সেই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলেন। (আরও পড়ুন: ইসকন ও চিন্ময় প্রভু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ব্রিটিশ সংসদে, তোপ ইউনুস সরকারকে)
আরও পড়ুন: ৪ বছরে ১৯ চিঠি কেন্দ্রের, তাও এখনও অশোকনগরে তেল উত্তোলনের 'অনুমতি' দিল না বাংলা!
আরও পড়ুন: ইসকনের সাথে যুক্ত থাকায় বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাসপেন্ড পড়ুয়া!
বাংলাদেশ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী বলেন, 'বাড়াবাড়ি হচ্ছে। বাংলাদেশের হিন্দুদের বিজেপি নিয়ে আসছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রশাসনিক পদে বসে রয়েছেন হিন্দুরা। থানার বড় বাবু, বিচারপতি, এসপি, ডিএম, কত হিন্দু। এগুলো দেখা যায় না? মাদ্রাসার ছেলেরা মন্দির পাহারা দিয়ে পুজো করার সুযোগ করে দিয়েছে। এগুলো দেখতে পান না? পালটা হামলা যারা করছে, তারা অস্থির মস্তিষ্কের। বাংলাদেশে কোথায় কি ঘটেছে, প্রকৃতপক্ষ কতটা... অত্যাচার হলে নিশ্চিত ভাবে তার নিন্দা করতে হবে। তবে সেটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়।' (আরও পড়ুন: নিম্ন আদালতে আপাতত চলবে না মামলা, সম্ভল নিয়ে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের)
আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতীয় কনস্যুলেট আধিকারিকদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে ট্রুডো সরকার
এরপর সিদ্দিকুল্লা আরও বলেন, 'এখানে যখন বাবরি মসজিদের বিষয়ে বাংলাদেশ মুখ খুলেছিল, তখন মোদীজি বলেছিলেন, এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ইউনুস সাহেবও ভালো উত্তর দিয়েছেন - এটা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সন্ন্যাসী যদি অপরাধ করে অপরাধী, ইমাম অপরাধ করলে অপরাধী। ভালো সন্ন্যাসী হলে কি অপরাধ করবে? সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ৪০ বছর ধরে কাজ করছে, সবার সামনে বলছি, ক'টা থানায় কেস দেখেছেন? অপরাধ হল অপরাধ।' (আরও পড়ুন: ইসকনকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে কোনও আলোচনাই হয়নি, দাবি বাংলাদেশ সরকারের)
আরও পড়ুন: CBI মামলায় জামিন সুপ্রিম কোর্টে, ২৩ মাস পর জেল থেকে ছাড়া পাবেন কুন্তল!
সম্প্রতি বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। তাঁর গ্রেফতারির পর থেকে আরও উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। এই ইস্যুতে বিধানসভায় মমতা বলেছিলেন, 'বাংলাদেশ নিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের পাশে রয়েছি। এব্যাপারে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনও অধিকার নেই।' পরে সন্ধ্যায় বিনাবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সময় বাংলাদেশ ইস্যুতে সংসদে দলের অবস্থান নিয়ে মমতা বলেন, 'সংসদে এই নিয়ে যা অবস্থান নেওয়ার তা দলতগ ভাবে নেওয়া হবে। ব্যক্তিগত ভাবে কারও অবস্থানে কিছু যায় আসে না।'