অবশেষে বিধানসভায় শপথ নিলেন নবনির্বাচিত বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রেয়াত হোসেন। তবে তাতেও শপথ জট কাটল না। এবার এই ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে চিঠি লিখতে চলেছেন বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর অভিযোগ, বিধানসভায় দুই বিধায়কের শপথগ্রহণের জন্য যে ডেপুটি স্পিকারকে তাঁর ‘প্রতিনিধি’ নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল। তবে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ই দুই নির্বাচিত প্রতিনিধিকে শপথবাক্য পাঠ করান। এর জেরে সংবিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। আর তাই এই গোটা বিষয়টি জানিয়ে রাষ্ট্রপতিকে 'রিপোর্ট' পাঠিয়েছেন বোস। (আরও পড়ুন: বাংলায় ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট 'লুকিয়ে' চরম বিপাকে সরকার, ভর্ৎসনা আদালতের)
আরও পড়ুন: সংগঠনে বড়সড় রদবদল বিজেপির, তবে দায়িত্ব থেকে 'ব্রাত্য' বাংলা ও বাঙালি!
আরও পড়ুন: মস্তিষ্কে অপারেশনের পরে এখন কেমন আছেন মুকুল রায়, রইল সর্বশেষ আপডেট
এদিকে বিধানসভার স্পিকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে রিপোর্ট পাঠিয়ে কি বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়েই খেলে দিলেন রাজ্যপাল বোস? গোটা ঘটনায় বিমানের দাবি অন্তত তেমনটাই। এই রিপোর্ট পাঠানো প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে স্পিকার বলেন, 'তিনি (রাজ্যপাল) যদি আরও আগে এটা করতেন (রিপোর্ট পাঠাতেন), তাহলে আমি আরও খুশি হতাম। কারণ রাষ্ট্রপতিকে আমি আগেই বিষয়টি জানিয়েছিলাম।' এদিকে স্পিকার দাবি করেন, তিনি শপথবাক্য পাঠ করিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেননি। তাঁর যুক্তি, 'রুলস অফ বিজনেস'-এর ২ নম্বর অধ্যায়ের ৫ নম্বর ধারা মেনে তিনি সায়ন্তিকাদের শপথবাক্য পাঠ করান। বিধানসভার অধিবেশন চালু থাকায় 'রুলস অফ বিজনেস' কার্যকর থাকবে। রাজ্যপালের চিঠি মান্যতা পাবে না।
উল্লেখ্য, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুই নবনির্বাচিত বিধায়কের শপথ বাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ গ্রহণ করানোয় প্রশ্ন ওঠে। বৃহস্পতিবারই বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের কথা জানিয়েছিলেন স্পিকার। শুক্রবার সেই অধিবেশনের আগে কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণ নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তাতেই প্রথমে ঠিক হয়েছিল ডেপুটি স্পিকার ওই দুজনকে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। কিন্তু, শেষ মুহূর্তে সেই পরিকল্পনা বদলে যায়। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে স্পিকারের উপস্থিতিতে এই দায়িত্ব তিনি পালন করতে পারবেন না। পরে স্পিকারই শপথবাক্য পাঠ করান। এই আবহে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দাবি করেছেন এই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান অসাংবিধানিক। এনিয়ে এবার রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দেন।