প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ জানিয়ে দিয়েছে, অনলাইন কাউন্সেলিং শেষ হওয়ার সপ্তাহ খানেকের মধ্যেই নতুন প্রার্থীরা নিয়োগপত্র হাতে পেয়ে যাবেন।
তবে আশঙ্কার কালো মেঘ ছেয়ে গিয়েছে এমন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে যাঁরা আগে থেকেই চাকরি করছেন। অথচ দীর্ঘদিন ধরে নিজের জেলায় বদলি পাননি। বদলির আশায় বসে থাকা পুরনো শিক্ষকদের আশঙ্কা, একবার নিয়োগ হয়ে গেলে, তাঁদের বদলি আটকে যেতে পারে। তাই দ্রুত তাঁদের বদলি প্রক্রিয়া তরান্বিত করার দাবিতে ইতিমধ্যেই তদ্বির শুরু করেছেন তাঁরা। তবে পর্ষদ বলছে, ‘বদলির প্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি। কাজ চলছে।’
কাউন্সেলিংয়ের প্রসঙ্গে সোমবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানান, অনলাইনে কাউন্সেলিং করায় এক সপ্তাহের মধ্যেই পুরো কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। ‘প্রার্থী য জেলায় শিক্ষকতা করতে চান, সেই পছন্দের জেলার নাম কাউন্সেলিংয়ের সময় অনলাইনে জানাবেন। কাউন্সেলিং শেষ হলেই প্রার্থীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতর থেকে নিয়োগপত্র পাবেন।
এর আগেই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন যে, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বাড়ির কাছাকাছি বদলির সুযোগ করে দেওয়া হবে। কারণ, শিক্ষায় গতি আসবে। একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বছরের পর বছর বাড়ি থেকে দূরে থাকার দুর্ভোগও কমবে। সেই নির্দেশমতো বদলি প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছিল। তারপরে সব ঠাণ্ডা ঘরে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। বহু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, আবেদন করলেও তাঁদের এখনও পর্যন্ত নিজের জেলায় বদলি হয়নি। তবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য আশ্বাস দিয়েছেন, ‘বদলি প্রক্রিয়া বন্ধ হয়নি। এই নিয়ে কাজ চলছে।’