শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়ায় কলকাতা হাইকোর্টে ধাক্কা খেল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৪ সালের টেটে ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত মামলায় প্রার্থীদের জন্য আবেদনের মেয়াদ দু'দিন বাড়িয়ে আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মামলাকারীরা অফলাইনে আবেদন জমা দিতে পারবেন।
গত ২৩ ডিসেম্বর ১৬,৫০০ শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তাতে শুধুমাত্র ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন বলে জানানো হয়। তারপরই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। দাবি করেন, ২০১৪ সালের টেটে ছ'টি ভুল প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। কিন্তু তা না করেই কীভাবে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে পারে পর্ষদ? কারণ পুনর্মূল্যায়নের পর তো তাঁদের নম্বর বৃদ্ধি পেয়ে টেটে উত্তীর্ণ করতে পারতেন। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে পারেন। সেজন্য পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশের আর্জি জানানো হয়েছিল।
তবে মঙ্গলবারের শুনানিতে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেয়নি হাইকোর্ট। বরং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নির্দেশ দিয়েছেন, মামলাকারী প্রার্থীদের আগামী ৮ জানুয়ারি (শুক্রবার) পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ দিতে হবে। পর্ষদকে অফলাইনে তাঁদের জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে মামলাকারী অনামিকা মণ্ডলের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, আগামিকাল (বুধবার) পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদন করা যাবে বলে জানিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কিন্তু মামলাকারী প্রার্থীদের জন্য আবেদনের মেয়াদ আরও দু'দিন বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ যে প্রার্থীরা মামলা করেছিলেন, তাঁরা আগামী শুক্রবার পর্যন্ত অফলাইনে আবেদন করতে পারবেন। তেমনই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। অপর এক ওয়াসিম আক্রম মণ্ডলের আইনজীবী জানান, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশের আর্জি জানানো হলেও হাইকোর্টের রায়ে খুশি চাকরিপ্রার্থীরা।