দেড়শো টাকা থেকে বেড়ে এক লাফে প্রাথমিক টেটের ফর্মের দাম হয়েছে ৫০০ টাকা। আর তাতেই রাজ্য সরকারকে তুমুল আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, টেট আয়োজন আসলে সরকারের টাকা রোজগারের ফন্দি। এমনকী হিসাব করে দেখিয়ে দিয়েছেন, আসন্ন টেট আয়োজন করে সরকারের প্রায় ২৫ কোটি টাকা লাভ হতে চলেছে। সঙ্গে শুভেন্দুর কটাক্ষ, চাকরি তো হবে না।
গত বুধবার ২০২৩ প্রাথমিক টেটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। জানান, ১০ ডিসেম্বর আয়োজন করা হবে পরীক্ষার। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে ফর্ম পূরণ। তবে এবার সাধারণের জন্য ফর্মের দাম ৫০০ টাকা। গত বছর টেটের ফর্মের দাম ছিল ১৫০ টাকা। এক লাফে টেটের ফর্মের দাম কেন তিন গুনেরও বেশি বাড়ল তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল জনমানসে। শনিবার এক্স হ্যান্ডেলে নিজের ব্যাখ্যা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুবাবু লিখেছেন, ‘বছর বছর পরীক্ষা হবে কিন্তু কাউকে নিয়োগ না করবে না। প্রাথমি টেট আয়োজন করে টাকা রোজগারের একটা সহজ পথ বার করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি গৌতম পাল ১৩ সেপ্টেম্বর বলেছেন, প্রতি বছর নিয়োগ না হলেও টেট হবে। এবার দেখি কেন এই সিদ্ধান্ত। গত বছর যখন দুর্নীতির বন্যায় ভাসছে রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া তখন ৫ বছর পর ২০২২এর ডিসেম্বরে টেট নেওয়া হয়েছিল। প্রায় ৭ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১ লক্ষ প্রার্থী যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন। তাদের কাউকে এখনো নিয়োগ দেওয়া হয়নি'।
হিসাব কষে শুভেন্দুবাবু লেখেন, 'এবার অংক কষে দেখা যাক, ২০২৩ সালের টেটের ফর্মের দাম সাধারণের জন্য ৫০০ টাকা। ওবিসিদের জন্য ৪০০ টাকা, SC/ST দের জন্য ২৫০ টাকা। যদি ধরে নেওয়া যায় গড়ে ৪০০ টাকা করে একটি ফর্ম বিক্রি করা হবে। আর সম্ভাব্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৭ লক্ষ তাহলে রাজ্য সরকারের আয় হবে ২৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩ কোটি টাকা টেট আয়োজন করতে খরচ হবে। বাকি ২৫ কোটি সরকার লাভ করবে। অর্থাৎ পশ্চিমবঙ্গের চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে ২৫ কোটি টাকা মুনাফা করবে সরকার। যদিও তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে নিয়োগের কোনও ইচ্ছা তাদের নেই।’