সম্প্রতি প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। রিপোর্টে দাবি করা হল, সেই চার্জশিটের শুরুতেই আছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম। এই সংস্থার সঙ্গে নাম জড়িয়ে আছে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এছাড়া রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নামে গড়া তহবিলের নামও রয়েছে সেই চার্জশিটে। আনন্দবাজারের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট ২৯টি নাম যোগ করা হয়েছে এই নয়া চার্জশিটে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য থেকে শুরু করে অন্যান্য ঘনিষ্ঠদের নামও রয়েছে এই চার্জশিটে। (আরও পড়ুন: মণিপুর হিংসায় ব্যথিত ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক, অকপটে বললেন - ‘যা ঘটছে, তা…’)
আরও পড়ুন: '…কী হল এত আন্দোলন করে?', উপনির্বাচনের ফল নিয়ে মুখ খুলল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট
আরও পড়ুন: '...গুজরাট ২০০২-এর মোদীকে ফেরত চাই', বাংলাদেশ নিয়ে এ কী বললেন তথাগত?
ইডির এই পঞ্চম চার্জশিটে নাম রয়েছে বেঙ্গল মার্লিন হাউসিং লিমিটেড এবং তার অন্যতম ডিরেক্টর সুশীলকুমার মোহতা, দিলীপকুমার চৌধরী, গ্রিনটেক আইটি সিটি প্রাইভেট লিমিটেড এবং তার অন্যতম ডিরেক্টর উদয় মোদী, বৌবাজারের চিরাগ অ্যাপ্লায়েন্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং তার ডিরেক্টর সুবোধকুমার ছাজেরে, চাঁদনি চকের সেই নিউ ইন্ডিয়া লক্ষ্মী সাইকেল প্রাইভেট লিমিটেড এবং তার ডিরেক্টর নবীনকুমার গুপ্তের। এছাড়াও নাম রয়েছে ওএমআরশিট প্রস্তুতকারী সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি, তাপস মণ্ডলের সংস্থা মিনার্ভা ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশন, নীলাদ্রি ঘোষ, পার্থ-ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের। নাম আছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসেরও। প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিল অভিষেক ঘনিষ্ঠ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে। তার থেকেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উঠে এসেছিল লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার নাম। (আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশ ভেঙে পৃথক হিন্দুদেশ...', 'ফর্মুলা' বাতলে দিলেন প্রাক্তন সেনা কর্তা!)
আরও পড়ুন: 'ইউনুসের চামড়া, গুটিয়ে দেব...', বাংলাদেশি পণ্য বয়কটের ডাক শিলিগুড়িতে
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৩ জুলাই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থকে গ্রেফতার করে ইডি। গ্রেফতার করা হয় তাঁর বান্ধবী অর্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। প্রথমে টালিগঞ্জে অর্পিতার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে ২১ কোটি টাকারও বেশি নগদ উদ্ধার করেছিল ইডি। এরপরে অর্পিতার বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকেও টাকা উদ্ধার করা হয়। পাওয়া যায় ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। এত নগদ দেখে চোখ কপালে উঠেছিল বঙ্গবাসীর। তবে এখানেই শেষ হয়নি দুর্নীতির টাকার হিসেব। (আরও পড়ুন: হিন্দু উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ে!)
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে হিন্দুদের ওপর হামলা, গর্জে উঠলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা
অর্পিতার পরও এই শিক্ষক নিয়োগ দুর্তীতি মামলায় রাজ্যের আরও হেভিওয়েটরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের জালে জড়িয়েছেন। মানিক ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, প্রাক্তন এসএসসি উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা, এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সচিব অশোক সাহা, প্রাক্তন তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ সহ একাধিক জন এই মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে হাজতে যান। এদিকে গত ২০২৩ সালে যুব তৃণমূলের সমাবেশে অভিষেক দাবি করেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম বলানোর জন্য ধৃতদের ওপর চাপ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। এরপরই কুন্তল ঘোষ প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ জানান যে তাঁকে দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। এহেন পরিস্থিতিতে কুন্তলের মাধ্যমেই এই মামলায় না জড়িয়েছিল অভিষেকেরও।